জন্মভূমি রিপোর্ট
পবিত্র মাহে রমজানের চলছে মাগফিরাতের দশক। মহান রাব্বুল আলামীন মহিমান্বিত রমজান মাসে বান্দার জন্য রেখেছেন তিনটি সুবর্ণ সুযোগ।
রাসুল সা. ইরশাদ করেন, রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাত প্রাপ্তির। (মিশকাত শরীফ)
প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিই এই রমজান মাসে সারা বছরের নেকি ও পূণ্যের ঘাটতি পূরণের প্রাণান্তকর চেষ্টা করে থাকেন। ইবাদতের মাধ্যমে রহমতের ১০ দিন অতিবাহিত করার পর মুমিন ব্যক্তিরা মাগফিরাত লাভের আশায় আল্লাহ পাকের দরবারে নিজেকে নতুন করে নিয়োজিত করে থাকেন।
বান্দা যেন তার সারা বছরের কৃত সব গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে, এই জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান মাসের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত তথা ক্ষমা লাভের দিন হিসেবে ধার্য করেছেন। মাগফিরাতের এই দশকে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রেখেছেন অফুরন্ত ক্ষমার ভাÐার।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করে বলেন (হে নবী) বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর জুলুম (গুনাহ) করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেদিবেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা যুমার ৫৩)।
অন্য আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন ? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল দয়ালু। (সুরা মায়িদা৭৪)।
আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, তোমরা তোমাদের প্রভূর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সূরা নূহ: ১০)।
সুতরাং প্রত্যেক মুমিনেরই উচিত, মাগফিরাতের এই দশকে গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে এবং আর কখনো গুনাহে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাওবা করা এবং গোনাহ মাফের জন্য চোখের পানি ফেলে তাঁর কাছে বেশি বেশি রোনাজারি করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন আমীন।