জন্মভূমি ডেস্ক : দুর্ভিক্ষের হুমকির মুখে পড়া গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল ‘অস্থায়ী’ ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেবে। গাজা যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে অনেক পরিবর্তন আনার বিষয়ে ওয়াশিংটন সতর্ক করার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েল শুক্রবার এমন ঘোষণা দিলো। এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৩০ মিনিট টেলিফোনে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, ইসরায়েল বিষয়ে মার্কিন নীতি গাজার বেসামরিক এবং সাহায্য কর্মীদের সুরক্ষার ওপর নির্ভর করছে। আর এটি ওয়াশিংটনের সামরিক সহায়তার সম্ভাব্য শর্তগুলোর প্রথম ইঙ্গিত। খবর এএফপির
দুই নেতার মধ্যে ফোনালের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় জেরুজালেমে মধ্যরাতে ইসরায়েল ঘোষণা দেয়া হয় যে, তারা অবরুদ্ধ গাজায় আরো সাহায্য সরবরাহের পথ খুলে দিবে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা অ্যাশদোদ বন্দর এবং ইরেজ ল্যান্ড ক্রসিংয়ের মাধ্যমে ‘অস্থায়ী’ সাহায্য সরবরাহের অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে প্রতিবেশী দেশ জর্ডান থেকে সরবরাহ বৃদ্ধি করেছে।
হোয়াইট হাউজ ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ গুলোকে দ্রুত স্বাগত জানিয়ে বলেছে, সেগুলোকে ‘এখন সম্পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে’।
হামাসের বিরুদ্ধে ছয় মাসের যুদ্ধের কারণে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে পড়েছে। দেশটির প্রধান সমর্থক ওয়াশিংটনও গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বারবার তিরস্কার করেছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ৩৩ হাজার ৩৭ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু এবং সেখানে যুদ্ধের কারণে দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ৩৭ জন নিহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছে। গাজায় গত ৬ মাসে আহত হয়েছে ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন।