গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি ও স্বজনরা। সোমবার সকালে কাশিয়ানী উপজেলার ফসলী বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত সেনা সদস্যের স্ত্রী শরীফা বেগম অভিযোগ করে বলেন, নিজামকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী ও তার সহযোগীরা আমার স্বামী সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট চৌধুরী রফিকুল ইসলাম ওরফে আনসার চৌধুরীকে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যা করে। ইতোমধ্যে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যাকান্ডের মূলহোতা নিজামকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নওশেরে আলীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।অপরদিকে, হত্যাকারীরা এলাকার নীরহ মানুষ ও নিহতের আত্মীয় স্বজনদের নামে ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অবিলম্বে আমি আমার স্বামী হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার পাশপাশি এলাকার নীরিহ মানুষ ও নিহতের স্বজনদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত ১১ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এরমধ্যে দুই আসামিকে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর সকালে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দিতে প্রতিপক্ষের লোকজন সাবেক সেনা সদস্য চৌধুরী রফিকুল ইসলাম ওরফে আনসার চৌধুরীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দিন ৭৮ জন এবং অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী শরীফা বেগম বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৩১/২০২৩) মামলা দায়ের করেন।