জন্মভূমি ডেস্ক : বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে করে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়া ২০৬ যাত্রী আটকে আছেন গ্রিনল্যান্ডের একটি নির্জন এলাকায়। তাদের বহনকারী প্রমোদতরীটি সমুদ্রের নিচে থাকা চরে আটকে যাওয়ার পর তারাও সেখানে আটকে যান।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
প্রমোদতরীটির পরিচালনাকারী সংস্থা জানিয়েছে, যাত্রীরা সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। তবে আগামীকাল শুক্রবারের (১৫ সেপ্টেম্বর) আগে সেখানে কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ পৌঁছাতে পারবে না। গত সোমবার থেকে একস্থানে স্থির হয়ে আটকে আছেন জাহাজটির যাত্রীরা।
গত ১ সেপ্টেম্বর এই প্রমোদতরীটি বন্দর ছাড়ে। ২২ সেপ্টেম্বর ভ্রমণ শেষে এটির আবারও বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস জানিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক থেকে ৮৫০ মাইল দূরে ওশেন এক্সপ্লোরার নামের দৈত্যাকার জাহাজটি আটকে যায়।
ডেনমার্কের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট আর্কটিক কমান্ড (জেএসি) এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে বলেছে, ‘পূর্ব গিনল্যান্ডের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধায় আর্কটিক কমান্ড একটি বার্তা পায় যে, ওশেন এক্সপ্লোরার উত্তরপূর্ব গ্রিনল্যান্ডের আলপেজজোর্ডে আটকে গেছে এবং জাহাজটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চর থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেনি।’
জয়েন্ট আর্কটিক কমান্ড আরও জানিয়েছে, ‘মঙ্গলবার ওই জায়গায় জোয়ারের সময়ও জাহাজটি ভেসে উঠতে পারেনি।’
জাহাজটির পরিচালনাকারী সংস্থা অরোরা এক্সপেডিশনস জানিয়েছে, যাত্রীদের কেউই কোনো ধরনের ঝুঁকিতে নেই এবং এতে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও অন্যান্য সরবরাহ রয়েছে।
ডেনমার্কের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট আর্কটিক কমান্ড বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, জাহাজটির কাছে যাওয়ার জন্য যে উদ্ধারকারী জাহাজ আছে সেটিও অনেক দূরে অবস্থান করছে এবং আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় উদ্ধার অভিযান আরও বিলম্ব হচ্ছে।
স্টেভেন ফ্রেসার নামের এক যাত্রী জানিয়েছেন, জাহাজটি আটকে যাওয়ায় তারা কিছুটা হতাশ। তবে যেখানে তারা আছেন সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই সুন্দর। ফলে এখন তারা সেটি উপভোগ করছেন। কিন্তু জাহাজটিতে কয়েকজনের করোনা ধরা পড়েছে। তবে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এতে চিকিৎসক রয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রমোদতরীটির বেশিরভাগ যাত্রীই অবসরপ্রাপ্ত এবং বয়স্ক।
অরোরা এক্সপেডিশনসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে জাহাজটি তৈরি করা হয়। এটি ১৩৪ জন পর্যটক বহন করতে পারে। আর জাহাজটি পর্যটকদের নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জন অঞ্চলগুলোতে যায়।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট