জন্মভূমি ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর বলেছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ না করায় এখন পর্যন্ত ঠিক কত শতাংশ ভোট পড়েছে তার পুরো তথ্য সংগ্রহ করতে পারছি না। এজন্য ম্যানুয়ালি তথ্য সংগ্রহ করছি। যে কেন্দ্রগুলোর তথ্য পেয়েছি সেখানে ২০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে, এটা প্রাথমিক তথ্য। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোথাও ১৫, কোথাও ১৬, কোথাও ২০ শতাংশ এরকম ভোট পড়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
আজ বুধবার (২৯ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভোটে এখন পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। আট হাজার ৪৫০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পূর্ব পৃঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়টা ব্যালট বই ছিনতাই হয়েছে বিধায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
অপরদিকে বগুড়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক ঠিকমতো না ছাপানোয় ওই পদটিতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ফেনী সদরে একটি কেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসারকেও আটক করা হয়েছে।
সচিব মো. জাহাংগীর বলেন, উত্তরাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি ভালো আছে। দক্ষিণাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি কম।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নেটওয়ার্ক জটিলতায় সকালে থেকে অ্যাপসে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে সরেজমিন তথ্যের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে।
তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করে কমিশন। ফলে ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো— বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটা এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।