ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর আয়োজনে গত বুধবার সকাল সাড়ে টায় গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে ইউ-ডিজি সানতে অডিট টিমের বাংলাদেশ সফর চিংড়ি রপ্তানী বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল। প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
সম্মানিত অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার মোঃ আবু ছাইদ, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম।
বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, সরোজ কুমার মিস্ত্রি, বিশ্বজিৎ বৈরাগী, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, শেখ মাহতাব হোসেন, মারুফ সরদার, আব্দুল মজিদ মোল্লা, ডাক্তার মোঃ ফজলুল করিম, মাধব কুমার শাহা প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয় মৎস্য সেক্টরে গত সাড়ে ছয় বছরে মৎস্য চাষী ও মৎস্যজীবীদের আয় ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাড়ে ছয় লাখেরও বেশী মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। জিডিপিতে অবদান-৩.৫৭%, কৃষিখাতে অবদান-২৬.৫০%, মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানির পরিমাণ- ৭৬,৫৯১.৬৯ মে.টন, মূল্যঃ ৪৮, মৎস্য উৎপাদন ৪৭.৫৯ লক্ষ মে. টন, সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি সেক্টর চিংড়ি খামার-২,৬৩,০২৫ হে., বাগদা চিংড়ির হ্যাচারী-৪৪টি, এসপিএফ বাগদা চিংড়ি হ্যাচারী-৩টি, বাগদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন-৭২১.০৪ কোটি, গলদা চিংড়ির হ্যাচারী-৩৩টি, গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন-২.৩৭ কোটি, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট-১০৭ (ইইউ অনুমোদিত-৭৭টি), সামুদ্রিক জলসীমার পরিমাণ-১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার, খাদ্য কারখানা-৫৫টি ও ডিপো/আড়ৎ-৭৬৭টি রয়েছে।