জন্মভূমি ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গায় বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মর্জিনা খাতুন (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নিহত মর্জিনা খাতুনের মেয়ে রেকসোনা খাতুন (১২) ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন নানা আজিলুল হক। রবিবার (১ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে আহত অবস্থায় মা এবং মেয়েকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মর্জিনা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মর্জিনা খাতুনের ভাগনে হুসাইন বলেন, আমার খালা মর্জিনা তার বাবার সঙ্গে থাকতেন। কিছুদিন আগে খালা ও তার বাবা আজিজুল হক বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সমিতির ঋণের কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আজিজুল হক খালাকে কিস্তি পরিশোধ করতে বলেন। খালা বলেন, আমি উপার্জন করি না কীভাবে পরিশোধ করব? এরই জেরে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েকে কুপিয়ে বাড়ির মধ্যে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে রাখেন আজিজুল হক। খালার চিৎকারে রেকসোনা ছুটে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে আমরা দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক খালাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত অবস্থায় মর্জিনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া রেকসোনার দুই হাতে অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে।
কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারাল অস্ত্রের কোপে মেয়ে মর্জিনা ও নাতি রেকসোনা গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মর্জিনা মারা যান। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।