জন্মভূমি রিপোর্ট
আর ক’দিন পরেই শারদীয়া দুর্গোৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এটি। এই উৎসবকে ঘিরে চারদিকে চলছে নানা আয়োজন। উৎসবে নতুন শাড়ি না হলে যেন অপূর্ণ থেকে যায় এই আনন্দ। বাঙালি নারীর শাড়ির আবেদন বহুকালের। পূজাতে নারীর পোশাক শাড়ির প্রাধান্য বেশী। বিপণী বিতানগুলো সেজেছে নানা সাজে। ফ্যাশান হাউজগুলোতেও রয়েছে রকমারী পোষাক। এবারের পূজায় দেশীয় শাড়ির চাহিদা বেশী। বেশী আকর্ষণীয় রয়েছে সুতি, কাতান, বেনারশি, শিল্ক, পিওর শিল্ক , তসর শিল্ক, জামদানি, বালু চুড়ি অর্গগ্যাঞ্জা রও এমব্রয়ডারির।
নগরীর নিউ মার্কেট, আড়ং, অঞ্জস, জলিল টাওয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী বিপণী বিতান, রেলওয়ে বিপাণী বিতান, এস এম রব শপিং কমপ্লেক্স, নান্নু সুপার মার্কেট, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, হ্যানিম্যান মার্কেট, শাহ জালাল শপিং মহল, বড় বাজার তুলাপট্টি, এম রহমান চেম্বার, ঠাকুরবাড়ি গলি, আখতার চেম্বার,এশা চেম্বার, হাজি মালেক চেম্বার, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, খুলনা বিপণী কেন্দ্র, মশিউর রহমান বিপণী বিতান, বড় বাজার কাপুড়িয়া পট্টি ও ফুলমার্কেট সংলগ্ন সন্দ্যা বাজারসহ বিভিন্ন শোরুমগুলো সেজেছে নবরূপে। এসব বিপণী বিতানের দোকনগুলোতে রয়েছে রকমারী পোশাক। সাজানো গোছানো ও পরিপাটি। ক্রেতারা বলছেন বিপনীবিতানগুলোর চেয়ে শোরুমে দামটা একটু বেশী। বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম হাতের নাগালে আর ক্রেতারা বলছেন উল্টো। বিপনী বিতানগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে।
বয়রা থেকে আসা ক্রেতা দিপালী বলেন, কয়েকাটা দোকান ঘুরে পছন্দ করে শাড়ি কিনা হয়েছে। একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের দাম হাকছেন। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। শাড়ির পাশাপাশি জুতা স্যান্ডেল ও তৈরী পোষাক কেনারও ভেড় দেখা গেছে।
বড় বাজার তুলাপট্টি রোড়ের নিউ মদিনা গার্মেন্টস’র সত্ত¡াধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিক্রি বেশ ভালো। মো. ইমামুল শেখ বলেন, আমাদের এখানে সকল প্রকাশ পোশাক রয়েছে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা হয়। হযরত শাহ্ জালাল শপিং মহলের শাড়ি ব্যবসায়ী এম এম মিজানুর রহমান বলেন, তুলনামূলকভাবে বিক্রি কম। তবে কিছুটা বিক্রি শুরু হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিক্রি একেবারে হয়নি। রাত ৮টায় দোকান বন্ধ করতে হয়। তিনি রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খেলা রাখার দাবি জানান সরকারে কাছে।
জমে উঠছে পূজার বাজার
Leave a comment