জন্মভূমি রিপোর্ট
নিম্ন চাপের প্রভাবে নগরীতে বুধবার দিনগত রাতের শুরু হওয়া ৫ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে নোংরা পানিতে ডুবে গেছে মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর। নগরীর অধিকাংশ এলাকার বাড়ির নিচতলায় প্রবেশ করেছে ড্রেন-নর্দমার নোংরা পানি। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। সড়কে চলতে পারছে না রিকশা-ইজিবাইক। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতেও তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। বুধবার দিনগত মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আভা বলেন, আমার পরীক্ষাকেন্দ্র খুলনা জিলা স্কুল। ১১টায় পরীক্ষা থাকায় বাসা থেকে সাড়ে ৯টায় বের হয়েছি। কিন্তু কোন রিক্সা বা ইজিবাইক পাওয়া না যাওয়ায় হাটু সমান পানি ভেঙে আব্বুর সাথে হেটেই রওনা দিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর পানি হাটুরও ওপরে থাকায় আব্বু কোলে করে পার করে দিল যায়গাটা। পাজামা বেশিদুর না ওঠায় ভিজে গেছে নোংড়া পানিতে।
বয়রা মডেল হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, তার পরীক্ষার কেন্দ্র বয়রার হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে হাঁটুপানি ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। বড় ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হয়ে সারা রাস্তায় পানি ছিটে কাপড় নোংরা হয়েছে।
নোমানের বড় ভাই নাসিব আহসান রুমি বলেন, ‘১১টায় পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়। কিন্তু সড়ক-বাসাবাড়ি পানিতে সয়লাব। এ কারণে ১০টায় নোমানকে নিয়ে নুরনগরের বাসা থেকে বের হই। জিপিও পার হয়েই নোংরা পানি। মোটরসাইকেল চালিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে দুজনেরই কাপড় নষ্ট হয়। এদিকে স্কুলের সামনে গর্ত ছিল। পানির কারণে বুঝতে না পারায় ওই গর্তে পড়ে ইজিবাইক উল্টো শিক্ষার্থীরা কাদাপানিতে ভিজে যায়। ওই অবস্থাতেই তাদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।’
খুলনায় এবার ৫৮টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে ২৬ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী। এ বছর খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার ৩৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জলাবদ্ধতায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
Leave a comment