জন্মভূমি ডেস্ক : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অঙ্গসংগঠনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সংস্থাগুলো হলো- জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয় (ইউএনওপিএস)।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দফতরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কলম্বিয়া, জার্মানি, রোমানিয়া ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ।
২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে এ তিনটি সংস্থার সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট রয়েছে। ইউএনডিপি মূলত দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করে থাকে। ইউএনএফপিএ কাজ করে জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে। আর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক বিষয়াবলীর প্রকল্প সংক্রান্ত চূড়ান্ত কাজগুলো সম্পাদন করে ইউএনওপিএস। সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সংস্থাগুলোর এ গুরুত্বপূর্ণ ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য এবং এ তিনটি সংস্থার নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে। বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রমে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারবে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিশ্বব্যাপী জনগণের ক্ষমতায়নে এবং তাদের উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এ সংস্থাগুলোর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মহামারি, চলমান মানবিক এবং জলবায়ু সংকটজনিত কারণে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, তা উত্তরণে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস-কে আরও অধিকতর সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন হবে। আর তাদের এই প্রচেষ্টায় নির্বাহী বোর্ড সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত থাকবে।
২০২২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের পর থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি, ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।