চৌগাছা প্রতিনিধি : চাকরি না পেয়ে এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান (২৭)। হাবিবুর যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের জলকার-মাধবপুর গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে। সম্প্রতী রেজাল্ট হওয়া প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে ভাইভা দিয়েছিলেন। তবে প্রতিবন্ধী কোটা থাকলেও চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হননি তিনি তবে বন্ধুদের চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে তার মধ্যে হতাশা ছিলো।
গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে গ্রামে নিজেদের দোতলা বসতবাড়ির শয়নকক্ষের পাশের রুমে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীর অনুরোধ ও আবেদনের প্রেক্ষিতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক জয়নুল ইসলাম। নিহতের বড়ভাই আনিছুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া অন্য কোন কারন পাওয়া যায়নি।’ পুলিশের সব রিপোর্টেও সেটাই লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুর ১টা ১৫ থেকে ২০মিনিটের মধ্যে হাবিবুরদের গ্রামের দোতলা বাড়িতে শয়নকক্ষের পাশের কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখার হুকের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলতে দেখে প্রথমে তার ভাতিজি চিৎকার-চেচামেচি শুরু করে। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে রশি কেটে নামিয়ে দেখেন হাবিবুরের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ পেয়ে চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) ইয়াসিন আলম চৌধুরী এবং পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। সেখানের পরিবারের সদস্যরা ও গ্রামের লোকজনের অনুরোধে এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
চৌগাছা থানার ওসি তদন্ত ইয়াসিন আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।