যশোর অফিস : অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে যশোরের ঝিকরগাছা পুলিশ । গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিকরগাছার পৌর সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপটিতে রানা চৌধুরীর জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করে একটি চক্র। এ সময় ঝিকরগাছা থানার পুলিশ অবৈধভাবে দখল করতে আসা দখলবাজদের প্রতিহত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলের চেষ্টাকালে সেখানে ঝিকরগাছা এলাকার মর্তুজা এলাহী টিপুর পান্ডা এনামুল লিটন উপস্থিত ছিলেন বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন। টিপু এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানা সর্বত্রই চাঁদাবাজি,লুটপাট, দখলদারিত্ব সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বলে জানা গেছে।
ঝিকরগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (১১/৯/২০২৪ নং ৪৮৪) সূত্রে জানা গেছে, কাঠ ব্যবসায়ী মশিউর রহমান ১৪ বছর আগে রুপা চৌধুরীর কাছ থেকে ৪ শতক জমি (কৃষ্ণনগর মৌজা হাল দাগ ১৭২৬ ও ১৭২৮)ক্রয় করেন। কিন্তু বিগত ১৪ বছর ধরে কাঠ ব্যবসায়ী মশিউর রহমান মোস্তফা ফারুক রানা চৌধুরীর জমিতে জোরপূর্বক (কৃষ্ণনগর মৌজা দাগ নম্বর ১৭২৫,১৭৩১ও১৭৩২) কাঁচা দোকান ঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। ক্ষমতার পালাবদলে রানা চৌধুরী তার নিজ জমির থেকে অবৈধভাবে গড়ে তোলা কাঁচা ঘর উচ্ছেদ করেন। গত ২৪ আগস্ট রানা চৌধুরী তার নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে মশিউর রহমান বাধা দেন।
রানা চৌধুরী পুনরায় তার জমির সীমানা প্রাচীর দেয়ার জন্য পাণ্ডাদের ভয়ে ঝিকরগাছা থানায় ১১ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (৪৮৪) করেন।১২ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মশিউর রহমান এবংথানা বিএনপি নেতা মর্তুজা এলাহি টিপুর অনুসারী বিএনপি’র বহিষ্কৃত এনামুল এবং যুবদলের লিটন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে রানার জমিতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর দেয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানার উপপরিদর্শক অহিদুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা উভয়ই পালিয়ে যান। পুলিশ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে যানএবং মশিউর রহমানকে থানায় আসতে বললেও তিনি থানায় যান নাই।
শুক্রবার ভুক্তভোগী গোলাম ফারুক রানা চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেতা টিপু চাচা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মীমাংসার জন্য বসতে চেয়েছিলেন। তিনি আমাদের না ডাকায় আমি টিপু চাচাকে ফোন করেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেন শুক্রবার অথবা শনিবারে বিএনপি’র শহিদুল ইসলাম বুদো বসে মীমাংসা করে দেবে।
নিজের ক্রয়কৃত জমি বাদে অন্যের জমিতে সীমানা প্রাচীর দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কাঠ ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন
বিএনপি নেতা মুর্তজা এলাহী টিপুর তার দলের লোকের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,থানার উপ পরিদর্শক অহিদুজ্জামান বলেন, আমি কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসেছি এবং কাঠ ব্যবসায়ী মশিউর রহমানকে থানায় আসতে বললেও তিনি আসেননি। যা অপরাধযোগ্য।
৫ আগস্টের পর টিপুর নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতে হস্তক্ষেপ, চাঁদাবাজির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা বাদশার বোধখানা বাওড় পুনরুদ্ধারের ব্যর্থ চেষ্টা, সবে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের চাকলা বাওড় অর্থের বিনিময় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।ঝিকরগাছা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে নিয়মিত চাঁদার ব্যবস্থা করা,ঝিকরগাছা পশুহাটে আওয়ামী লীগের সাথে তার নিজ দলের লোকদের ভাগ বাটোয়ারা ব্যবস্থা করা, ঝিকরগাছা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আওয়ামী লীগের কমিটিকে বহাল রাখা,বিভিন্ন অটো, ইজিবাইক, ভ্যান এবং জেএসএ স্ট্যান্ড থেকে তার লোকজন দ্বারা নিয়মিত চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। টিপুর এই অবৈধ চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-ভাগি নিয়ে সম্প্রতি শহিদুল ইসলাম বুদোর সাথে একাধিক ছাত্র ও যুবদলের নেতাকর্মীর সাথে বাদ বিতন্ডাও হয়েছে।