ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখে বেড়ে উঠেছেন মোঃ সৈকত হোসেন। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সৈকতকে এলাকায় ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা বলেই চেনে। ডান হাঁটুর ইনজুরির কারণে নিজের স্বপ্ন পূরণ না হলেও এবার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন তৈরীর। প্রতিষ্ঠা করেছেন মিনা স্মৃতি ক্রিকেটে একাডেমি। এই একাডেমীর পরিচালক ও হেড কোচ তিনি। এখন কোচ সৈকত হোসেন নামেই পরিচিত তিনি।
মেধা ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ সাবেক খেলোয়ার খেলোয়ার হিসেবে বেশিদূর যেতে না পারলেও কোচ হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলা অনুর্দ্ধ-১৪ দলের কোচ হিসেব দ্বায়িত্বপালন করেছেন সফলতার সাথে।
বিকেএসপির সার্টিফাইড এই কোচ ওয়্যারিয়রস অব বাংলাদেশ টিম এবং টেলেন্ট টেন ক্রিকেট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কোচ হিেিসবে দ্বায়িদ্ব পালন করেছেন।
জানতে চাইলে মোঃ সৈকত হোসেন জানান ছোটবেলার স্বপ্ন ক্রিকেট খেলোয়াড় হবেন। কিন্তু আর্থিক অনটন ও পায়ের ইনজুরির জন্য সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে আমি হাল ছেড়ে দিইনি, খেলোয়াড় হইতে পারিনি কিন্তু কোচ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি, বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমি একাডেমির মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা অন্বেষণের চেষ্টা করছি। আশা করি আমার স্বপ্ন আমার স্টুডেন্ট এর ভিতর দিয়েই পূরণ হবে। তিনি বলেন, মাদককে না বলতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।
তবে তার এই উদ্যোগ এগিয়ে নিতে তিনি বিক্রি করেছেন নিজের বাবার জমি। নিজে পরিশ্রম করে যা আয় করেছেন তাই ব্যয় করেছের এই প্রতিষ্ঠানের পেছনে। সরকারি অনুদান ও বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে তার প্রতিষ্ঠিত মিনা স্মৃতি ক্রিকেটে একাডেমি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি বিশ^াস করেন।