জন্মভূমি ডেস্ক : বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও হামলার ঘটনাটি মূলত টাকা লুট ও কেএনএফের সক্ষমতা জানান দিতেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ননের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্টতা, উত্তরসুরিদের অনুপ্রেরণা ও বহিরবিশ্বে তাদের সহযোগীদেরকে সংগঠনটির সক্ষমতা জানান দিতেই বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও হামলার ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসি ফুটেজ দেখে এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগেও এই কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গী সদস্যদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্যাংক ম্যানেজার ও অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, রুমা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলা উদ্ধার করা না গেলেও র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সবার প্রচেষ্টায় কোনোরূপ ঝুকি না নিয়ে তাদের কয়েকটি কৌশলের একটি ব্যাবহার করে অপহরণের শিকার রুমা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গোপনীয়তার কারণে কোন কৌশল অবলম্বন এবং রুমার কোন স্থান থেকে ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে তা জানাননি তিনি। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ননের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, লে.কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনসহ র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।