শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : টক জাতীয় ছোট ফল জলপাই দেখলেই জিভে জল আসে! এতে ভিটামিন, মিনারেলসহ ভেষজ উপাদান, খাদ্যআঁশ, আয়রন, কপার, ভিটামিন-ই, ফেনোলিক উপাদান, অলিক অ্যাসিড এবং বিভিন্ন প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
এই ফল শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই সাহায্য করে না, একইসঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এতো সব উপকারী একটি ফল ডুমুরিয়ায় বাণিজ্যিক চাষাবাদে ছিল অবহেলিত।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ জেলার জমি ও আবহাওয়া বেশ ভালো জলপাই চাষের জন্য। ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রত্যেকটি বাড়িতে একটি-দুইটি করে জলপাই গাছ দেখা যায়।
ডুমুরিয়া সদর উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের শামীম বলেন, আমি আমার বাড়িতে একটি জলপাই গাছ লাগিয়েছি। শীতের শুরুতে এর ফল দেওয়া শুরু হয়। ফল পাতার থেকে বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। উৎপাদনে খরচ কম, লাভ বেশি। ফলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে মন্দ হয় না।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, জেলায় ৫ হেক্টর জমিতে জলপাই গাছ রয়েছে। এবার ৫-৭ মেট্রিক টন ফল উৎপাদন হয়েছে। জলপাই দিয়ে আচার, চাটনি, জ্যাম-জেলি প্রভৃতি তৈরি করা হয়। গাছে তেমন কোনো পোকামাকড় ও রোগ বালাই আক্রমণ করে না। বাংলাদেশের মাটিতে যেকোনো স্থানে সহজে জন্মাতে পারে। তাই এ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলটি চাষ করে পরিবার ও দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ফল বিদেশে রফতানি করা যেতে পারে।
কেবল গ্রাম বা জেলা শহর নয়, ঢাকাসহ বড় শহরে জলপাই গাছ লাগানো যেতে পারে অতি সহজেই, যোগ করেন তিনি।
এছাড়া ফল হিসেবেই নয়, এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর। জলপাই তেলে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ-সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যবহারে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডুমুরিয়ায় জলপাই চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
Leave a comment