ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশে কম বয়সী নারী ও বালিকাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন জলবায়ু-সহনশীলজলজ খাদ্য ব্যবস্থা’ (অ্যাকোয়াফুড) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তৃণমূলের অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) বিশেষ করে মায়েদের, কিশোরদের ও সেবাদানকারী সরকারী বেসরকারি মাঠকর্মীদের মত বিনিময় এবং কর্মশালা মঙ্গলবার ডুমুরিয়ার টিপনা ভিলেজ সুপার মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় বিদেশী গবেষকদের মধ্যে ড. নান্না রুজ, অ্যাকুয়াফুড প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং সমন্বয়কারী, প্রফেসর ড. ডেভিড লিটল, ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং, যুক্তরাজ্য, প্রফেসর ড. বাউকি ডি রুজ, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিন, যুক্তরাজ্য; বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ, উদ্যোক্তাবৃন্দ, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবিপার্টেরপিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।
বক্তব্য রাখেন একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি একোয়াকালচার বিভাগের কো-পিআই প্রফেসর ড. এম. এ. সালাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার্টের পিআই প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন, আইসিডিডিআরবির পার্টের পিআই গুলশানআরা, জেলা সিভিল সার্জন সবিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
বক্তরা বলেন বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে, একোয়া কালচারে ৫ম এবং সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদনে ১১তম স্থান অর্জন করেছে। এ কারণে আমরা মৎস্য খাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি।
একোয়াফুড প্রকল্প যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে তা হলো জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের সমৃদ্ধ উপকূলীয় এবং নদীমাতৃক ইকোসিস্টেমঐতিহ্যগতভাবেমৎস্য আহরণের ব্যাপক সুযোগ করে দিয়েছে এবং মৎস্য চাষ দ্রুত সম্প্রসারনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।বক্তারা আরও বলেন, দারিদ্র্য, সামাজিক পক্ষপাত, বাল্যবিবাহ এবং কম বয়সে গর্ভাবস্থার সম্মুখীন কিশোরী ও যুবতীরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কার্যকর স্থানীয় পদক্ষেপ এবং নীতি বাস্তবায়নের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলজ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে খাতগত বৈষম্য সমন্বিতনীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে আরও বাধা দেয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সীমিত করে তোলে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং আইসিডিডিআরবির যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ড্যানিডাঅর্থায়ন করেছে।