ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক সিরাজুল ইসলাম খান উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। পেয়ার চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে পেয়ারা চাষ করে ৭ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। এ উন্নত জাতের গাছ থেকে কম খরচে ১২ মাসই পেয়ারা পাওয়া যায়। প্রতিটি পেয়ারা আধা কেজি থেকে প্রায় এক কেজি ওজন হয়। একটি গাছ টানা সাত বছর ফল দেয়। আর এ পেয়ারা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রায় ৫ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ করেছেন। চলতি বছরে তিনি ৭ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
তার দেখাদেখি অনেক চাষি পেয়ারা আবাদ করছেন। পঞ্চুর গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম ইসলাম বেশ কয়েক বছর ধরেই পেয়ারার চাষ শুরু করেছেন। মাসের পর মাস পেয়ারার বাগান পরিচর্যা করছেন। পেয়ারার চাষ করেছেন সলুয়া গ্রামের পুর্নন্দুবিশ্বাস। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা মাঠের পর মাঠ উন্নত জাতের পেয়ারা বাগান করেছেন। ডুমুরিয়ার অনেক কৃষক ও বেকার যুবকরা এখন উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ শুরু করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মোসাদ্দেক হোসেন জানান, চলতি বছরে ২৫ হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ হয়েছে। সাধারণ ফসলের চেয়ে পেয়ারার আবাদে ৩ গুণ লাভ হয়। খুলনা হকি কালচার থেকে চারা সংগ্রহ করে বৈশাখের শেষ সময় থেকে পেয়ারার চারা লাগানো শুরুহয়। গাছ লাগানোর ৯ মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ১৫০টি ফল ধরে। কিন্তু গাছের সুরক্ষায় ছোট থাকতে তা ফেলে দিয়ে ২০–২৫টি পেয়ারা রাখা হয়। ১২ মাস পেয়ারা ধরলেও শীত মৌসুমের পেয়ারায় দাম বেশি পাওয়া যায়। বর্ষাকালে পেয়ারার পোকা ও পচন রোধে সুষম সার প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া পেয়ারার গায়ে পলিথিন জড়িয়ে দিতে হয়। এ জাতের গাছে কমপক্ষে সাত বছর সুস্বাদু পেয়ারা ধরে। অন্য ফসলের আবাদ ছেড়ে অনেক চাষি এখন উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ শুরু করছেন।