শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে কেঁচো দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই সার ব্যবহারে কৃষকরা ভাল ফলন পাওয়ায় মুগ্ধতা বাড়ছে। উদ্যোক্তারা উৎপাদিত সার বিক্রিকরে লাভবান হচ্ছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার জি.এম আমানুল্লাহ কিছুদিন আগে মুরগি করে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সার তৈরি করেন। ডুমুরিয়া কৃষি অফিস তাকে ১শ রিং ও ১০ কেজি রেডওয়ার্ম জাতের বিশেষ কেঁচো বিনামূল্যে দেখা হয়।
তাই দিয়ে তিনি ভার্মি কম্পোস্ট অল্প দিনেই তিনি ব্যাপক সাফল্য পান। পরে তিনি পুরো খামারের ভেতরে বড় পরিসরে আরও ৭০ টির মতো বেড তৈরি করে। সেখান থেকেও একই পদ্ধতিতে সার তৈরি করছেন। এই ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী থেকে প্রতিমাসে এর ২৫ টন সার উৎপাদন করচেন। যা ডুমুরিয়ায় এলাকাসহ বাণিজ্যিকভাবে ভার্মি কম্পোস্ট সার (৩য় পৃষ্ঠার পর) সারাদেশে বিক্রি করছেন।
জি এম আমানুল্লাহ জানান, তার খামারে ৪ জন কর্মচারী রয়েছে। তাদের বেতন ভাতাসহ সব খরচ বাদে এখান থেকে তার প্রতি মাসে ভার ৫০/৬০ টাকা আয় হচ্ছে। এখন তিনি খামার
বুদ্ধির পরিকল্পনা করছেন। তার মতো জেলা জুড়ে অনেক নেকার ও কৃষক এমনভাবে সার উৎপাদন করে এখন বাড়তি আয় করছেন। পাশাপাশি নিজেদের জমিতে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান,জি এম আমানুল্লাহ কে আমরা ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে সব রকম সহযোগিতা দিয়েছি। ফলে সে এখন প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ সার উৎপাদন করে লাভবান করছেন।
পাশাপাশি আমার এলাকার কৃষকরা এই জৈব ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন। তিনি উল্লেখ করেন,
রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো, ফসল ও সবজির উৎপান বাড়াতে ভার্মি কম্পোস্ট সার অত্যন্ত কার্যকরী।
ডুমুরিয়া উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হোসেন জানান, এ উপজেলার অর্ধ শতাধিক সফল ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী খামারি ও কৃষক আছেন যাদের কষি বিভাগ থেকে সব রকম সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম শরাফপুরের সারোয়ার, জিএম আমানুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন। তারা জমিতে নিজেদের উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করাসহ বিক্রি করে এখন মোটা অংকের টাকা লাভ করছেন।
ডুমুরিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু
![](https://dainikjanmobhumi.com/wp-content/uploads/2024/02/04-02-2024-12-330x220.jpg)
Leave a comment