শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড সীড কোম্পানির মিরাক্কেল টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন তাঁরা।
ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ৪১০ হেক্টর জায়গায় টমেটো চাষ হয়। যার মধ্যে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয় ৪০ হেক্টর জায়গায় এবং উৎপাদন এক হাজার টন ( হেক্টর প্রতি ফলন ২৫ টন)। যার মূল্য ১০ কোটি টাকা। আবার শীতকালীন টমেটো চাষ হয় ৩৭০ হে. জমিতে এবং ফলন গড়ে হেক্টর প্রতি ৩২ টন। রবি মৌসূমে টমেটোর মোট উৎপাদন ১১,৮৪০ টন। কেজি প্রতি টমেটোর বিক্রয় মূল্য ৩০ টাকা হিসাবে মোট ৩৫.৫২ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হয় রবি মৌসূমে। অর্থাৎ ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে বছরে ৪৫.৫২ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কুলটি গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস ১২ বিঘা জমির ঘেরের আইলে টমেটো চাষ করেন এবং গত ২ মাসে তিনি প্রায় পনের লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন এবং এখনও বিক্রি করছেন।কুলটি গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আমার মাছের ১২ বিঘার ঘেরের আইলে টমেটো চাষ করি। টমেটো উৎপাদন ও আবাদ এলাকা বাড়ানোর জন্য আগাম জাত চাষ সম্পর্কে কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলে কমিউনিটি এপ্রোচের মাধ্যমে এগোতে হবে; বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসব জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর ব্যাপক প্রচারণা চালানো দরকার; বেশি বৃষ্টিপাতকে এড়িয়ে কম বৃষ্টিপাতের সময়ে পলিশেড ছাড়াই পলি-মালচিং প্রয়োগ করে চারা লাগালে খরচ সাশ্রয় হবে; উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক দলভিত্তিক কার্যকর বিপণন চ্যানেল তৈরি করে টমেটো বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হবে বেশি দেশীয় উৎপাদন বাড়লে আমদানি সীমিত রাখা এবং লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা দরকার।
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষকের আয় বাড়াতে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রীষ্মকালীন ইউনাইটেড সীড কোম্পানির মিরাক্কেল টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বারি গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাতের চাষ বাড়ানো গেলে টমেটোর বছরব্যাপী দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উপজেলার কুলটি ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার শেখ আবু হুরায়রা বলেন, এবার কুলটি ব্লকে ৩৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। তবে বাহুবলী জাতের টমেটোর চাষ বেশি হয়েছে এবং এর ফলনও ভালো হয়েছে। সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে টমেটোর আবাদ করছেন কৃষকেরা। ভবিষ্যতে টমেটো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন ডুমুরিয়ার কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলে কমিউনিটি এপ্রোচের মাধ্যমে এগোতে হবে, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসব জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর ব্যাপক প্রচারণা চালানো দরকার, বেশি বৃষ্টিপাতকে এড়িয়ে কম বৃষ্টিপাতের সময়ে পলিশেড ছাড়াই পলি-মালচিং প্রয়োগ করে চারা লাগালে খরচ সাশ্রয় হবে।
উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক দলভিত্তিক কার্যকর বিপণন চ্যানেল তৈরি করে টমেটো বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হবে বেশি, দেশীয় উৎপাদন বাড়লে আমদানি সীমিত রাখা এবং লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা দরকার মনে করেন।
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষকের আয় বাড়াতে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বারি গ্রীষ্মকালীন টমেটো জাতের চাষ বাড়ানো গেলে টমেটোর বছরব্যাপী দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে গ্রীষ্মকালীন মিরাক্কেল টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।