শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আয়োজনেও উপজেলা প্রশাসন ডুমুরিয়া খুলনা ওবাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএস আই আর ) বাপ্তবায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম আশিষ মোমতাজ, প্রধঅতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, প্রধান আলোচক সাইনস্টিক (বিসিএস আই আর) ড, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিবাশিষ বিশ্বাস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, উপজেলা সমাজসেবা কসুবকুমার বিশ্বাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন ডুমুরিয়া মহাবিদ্যালের অধ্যক্ষ শেখ মনিরুল ইসলাম ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন,ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মোঃ হামিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুর রহমান, উত্তম কুমার দাস ও বিভূতি রায় প্রমুখ। বাংলাদেশে বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ সীমিত- এটা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য যে আমরা প্রাপ্ত সুযোগ ঠিক মতো কাজেও লাগাই না। বাংলাদেশেই এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, চাইলে যেখান থেকে সহায়তা নিয়ে তুমি বিজ্ঞান চর্চার বিকাশ ঘটাতে পারো। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণামূলক এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথাই বলছি আজ।
জাতীয় শিল্পোন্নয়নে স্বয়ংসর্ম্পূণতা অর্জনের লক্ষ্যে বহুমুখী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান কাউন্সিল অব সায়েন্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর) এর সহ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় পুর্বাঞ্চলীয় ল্যবরেটরি। পরর্বতীতে পর্যায়ক্রমে ১৯৬৫ সালে চট্রগ্রামে এবং ১৯৬৭ সালে রাজশাহীতে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে এটি বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রির্সাচ (বিসিএসআইআর) নাম ধারণ করে। ১৯৭৮ সালে এটি পরিণত হয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে। পরর্বতীতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩ প্রণীত হয়।
জীবনের জন্য প্রয়োজন সুপেয় পরিস্কার পানি। মানুষের অসাবধানতা, সরবরাহের অপ্রাচুর্য ও পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে একুশ শতাব্দিতে সুপেয় পানি দুঃষ্প্রাপ্য হিসাবে দেখা অসাবধানতা, সরবরাহের অগ্রাচুর্য ও পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে একুশ শতাব্দিতে সুপেয় পানি দুঃষ্প্রাপ্য হিসাবে দেখা নিবে।
বিশুদ্ধ পানি মানুষের স্বাস্থ্য, উন্নতি এবং নিরাপত্তার প্রাথমিক উৎস। বর্তমানে বিশ্বে মানুষের অসুস্থতার জন্য প্রধানত বিশুদ্ধ পানির অভাবই দায়ী। জাতিসংঘের অন্যতম একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথীবীর ৪৮টি দেশে ২০২৫ সাল নাগাদ বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি দেখা দিবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ বর্তমান পৃথিবীতে প্রাপ্ত সুপেয় পানির ৩ গুণ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০% মানুষের বিশুদ্ধ পানির অভাব। বর্তমান সরকারের দারিদ্র দূরিকরণ কর্মসূচিতে সল্পতম সময়ে ১০০০% বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তা বিধান রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘের ১৮৯ দেশের স্বাক্ষরিত মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল সনদে ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র, ক্ষুধা এবং একই সঙ্গে বিশুদ্ধ নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন উপায়ে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রযুক্তি থাকলেও ক্যামিকেল দ্বারা তৈরী পানি বিশুদ্ধকরণ প্রযুক্তি বিশ্বে বহুল প্রচলিত।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ দেশের আর্থ- সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে রাসায়নিক পদার্থ ভিত্তিক পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার উদ্ভাবন করেছেন ।
পানিতে আয়রনের পরিমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মান হতে বেশি থাকে, যাহার ফলে চর্মরোগ চুলউঠা, দন্তরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। দূষিত পানিতে ক্ষতিকর আর্সেনিক, লেড, ক্যাডমিয়াম, মারকারী, ক্রোমিয়াম থাকে, এই ধরনের পানি পান করলে মৃত্যুও হতে পারে।
ডুমুরিয়ায় স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তি শীর্ষক সেমিনার

Leave a comment