জাহাঙ্গীর আলম, ডুমুরিয়া : বর্তমান সরকার গ্রাম উন্নয়নে অভ’তপূর্ব বিপ্লব ঘটিয়েছে। ছোট-বড় অধিকাংশ রাস্তা এখন কার্পেটিং। এমনকি সরকারি বরাদ্দে ইউনিব্লকের রাস্তায় অনেক নেতার রান্না ঘর পর্যন্ত পাকা। কিন্তু ডুমুরিয়া সদরের ৪/৫টি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ভাগ্যে জোটেনি উন্নয়ন। গেল তিন যুগে অনেক নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। হয়েছে বেশ কয়েক প্রকারের নির্বাচন। বারংবার মিলেছে রাস্তা নির্মানে নানা প্রতিশ্রতি। কিন্তু আজও এসব এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ কমেনি।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে ডুমুরিয়ার ১৪ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পাকা হয়েছে। ডাউন মাগুরখালী টাউনে পরিনত হয়েছে। কিন্তু ডুমুরিয়া সদরের খড়িয়া মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের চলাচলের রাস্তাটিতে কোন উন্নয়ন হয়নি। প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা মির্জাপুরের বৈরাগীপাড়া, সরদারপাড়া, বাছাড়পাড়ার কমপক্ষে ৫’শ মানুষের নিত্য যাতায়াতে একমাত্র রাস্তা এটি। এ রাস্তায় অনেক আগে ইটের সলিং বসানো হয়েছিল। বর্তমানে এ রাস্তাটি চলাচলে একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আরাজি ডুমুরিয়ার শাহাজান শেখের মুদি দোকান থেকে নীলপদ দাসের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৬০ ফুট। এ রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করে হাজার হাজার মানুষ। এই রাস্তার বামে কার্পেটিং। ডানে কার্পেটিং। মাঝের মাত্র সামান্য এ রাস্তা ইটের সলিং বসানো। বর্তমানে ওই সলিং রাস্তার অধিকাংশ যায়গায় ইট নেই। খানা খন্দর ও কাদাঁর কারণে ওই রাস্তা দিয়ে কোন মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। খলশী খাজুরা আবাসনের শেষ অংশে এখনও কাদাঁমাটির কাচাঁ রাস্তা। ওই আবাসনের অধিকাংশ ভ্যান, মাহেন্দ্রা, ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে কাদাঁর কারণে এসব যানবাহন নিয়ে বাড়ি যেতে পারছে না। গোলনা আবাসনের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগি। আরাজি ডুমুরিয়া মীর পাড়ার ভেতর দিয়ে বয়রাতলা নামক রাস্তার দৈঘ্য ১ কিলোমিটার। ওই রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগি। এসব রাস্তায় চলাচলকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুফল পায়নি। বর্তমান সরকার সড়ক যোগাযোগে অভ’তপূর্ব উন্নয়ন করলেও এসব রাস্তা দিন দিন আরও অনুন্নত হচ্ছে। এলাকাবাসী এনব রাস্তা উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনি করেছেন।
ডুমুরিয়া সদরের ৪/৫ টি রাস্তা চলাচলে অযোগ্য
Leave a comment