জন্মভূমি ডেস্ক
চলতি মাসে তাপপ্রবাহ আরও ছড়িয়ে পড়বে। থাকবে আগামী মাসের শুরু পর্যন্ত। এরপর কিছুটা ঝড়-বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। কিন্তু গরম কমবে না। ঝড়-বৃষ্টি কমলে আবারও বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
গত সপ্তাহ থেকেই প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। গত বরিবার চলতি বছরের সবোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এছাড়া দেশের অন্য এলাকাগুলোর তাপমাত্রাও গতকাল অনেক বেশি ছিল।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। দুই এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম বেশি হতে পারে। তাপপ্রবাহও আগের মতোই থাকবে। কিছু কিছু এলাকায় আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে কালবৈশাখী হতে পারে। সঙ্গে কিছু বৃষ্টিও। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে এটি সাময়িক। গ্রীষ্মকালে এই তাপমাত্রা এমনই থাকার কথা।
এদিকে এই তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এমনিতেই লকডাউন। তার ওপর যারা বাধ্য হয়ে কাজে বের হচ্ছেন, দুপুরের গরমে তাদের অবস্থা কাহিল। বিশেষ করে রাস্তায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর নাভিশ্বাস উঠছে। করোনায় মুখে মাস্ক পরার কথা থাকলেও রিকশাওয়ালা বা শ্রমজীবীদের গরমে-ঘামে মুখে মাস্ক রাখতে কষ্ট হচ্ছে। ভ্যান নিয়ে সবজি, ফল যারা বিক্রি করছেন তারাও চেষ্টা করছেন একটু ছায়ায় দাঁড়াতে। রোদ সরাসরি না লাগলেও তাপদাহে পুড়ছেন তারাও।
বিকাল ৩টার হিসাব অনুযায়ী, এখনও সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরেই। তবে রোববারের চেয়ে গতকাল কম ছিল, ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া অন্য বিভাগগুলোর তাপমাত্রা প্রায় গতকালের মতোই আছে এখনও।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া ও খুলনা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট অংশসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। আরও এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।