
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার পল্লীতে ধর্ম খালু কর্তৃক কন্যা বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় ধর্ম খালু ডন সাহাকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ওই শিশু কন্যা (১৩) কে দু’দফা ধর্ষণ করার পর রোববার রাতে আবারও উক্ত বাড়িতে আসার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে ডন সাহা। পরে জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
তালার ইসলামকাটি গ্রামের দাশপাড়ার নির্যাতিত ওই শিশুর পিতা জানান, তার ধর্ম ভায়রা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের চন্দ সাহার ছেলে ডন সাহার সাথে যৌথভাবে খেজুরের পাতা সংগ্রহ করে সাতক্ষীরার ঋশিল্পিতে বিক্রি ব্যবসা করে আসছিল। এইসূত্রে প্রায় ১বছর ধরে ভায়রা ডন তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ও রাত্রিযাপন করতো। এরমাঝে তার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের উপর কু-নজর পড়ে ডন সাহার। সে বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে একা পেয়ে উত্ত্যক্ত এবং কু-প্রস্তাব দেয়। এতে শিশু মেয়েটি রাজি না হলে কয়েক দফা তাকে মারপিট করে। একপর্যায়ে ২০/২৫দিন আগে ডন সাহা বাড়িতে একা পেয়ে শিশু মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার ৫/৭দিন পরে হুমকি দিয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করে। ওইদিন ঘটনাটি শিশুর মা বুঝতে পেরে পরিবারের লোকদের অবহিত করে। একপর্যায়ে বিপদ বুঝতে পেরে ডন এলাকা থেকে সটকে পড়ে।
শিশুটির মা জানান, ওই ঘটনার পর লোকলজ্জা,মেয়ের স্কুল ও ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে থানায় মামলা করা হয়নি। কিন্তুডন সাহা এলাকা থেকে চলে যাবার পরও মাঝে মাঝে রাতে এসে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার জন্য বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো। রোববার রাতে ডন সাহা অনুরুপ আমাদের বাড়ির পিছনের বাগানে অবস্থান নিয়ে মেয়েকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে ডন সাহাকে তাড়িয়ে ধরে আটক করে তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম পিপিএম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে সোমবার তালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (০১/২৪) দায়ের করেছেন। ঘটনায় আটক ডন সাহাকে আটক করা হয় এবং মঙ্গলবার সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। এছাড়া একই দিনে শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষাসহ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী করানো হবে বলে জানান তিনি।