জন্মভূমি ডেস্ক : চলছে পৌষের মাস। মাসের শেষে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে সারাদেশ। তবে উত্তরাঞ্চলে এই শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। গেল একমাসে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন নিম্ন আয়ের অর্ধশতাধিক মানুষ।
যাদের অনেকই এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আরও কয়েকদিন শীতের তিব্রতা বাড়তে পারে।
রংপুর নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরম কাপড়ের অভাবে জবুথবু অবস্থা ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীতে যেন জমে গেছে হাত-পা। একটু উষ্ণতার জন্য আগুনের কুন্ডলিই ভরসা নগরের বস্তিগুলোতে বসবাস করা হাজারো মানুষের। তাই খড়কুটো, প্লাস্টিকের স্যান্ডল বা পলিথিন কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই বসেছেন একটু উত্তাপের আশায়।
মাঘ মাস শুরু না হতেই শীতের দাপটে বিপর্যস্ত রংপুরের জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলাগুলোতে বইছে হিমেল হাওয়া। এসব এলাকার মানুষের দিন কোনো রকম কাটলেও রাত কাটছে শীতের সঙ্গে যুদ্ধ করে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ।
এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে আগুনে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৮০ জন মানুষ। যাদের মধ্যে ৫৫ জনই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। তারা সাধ্যমতো দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি রোগীদের আগুনের ব্যাপারে সচেতন করছেন।