শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরের ফলে থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার এবং সার্বিক উন্নয়নের একটা নতুন দুয়ার খুলে গেল। সেখানে একটা ভালো সুযোগ সৃষ্টি হলো। আপনারা জানেন যে, আমাদের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা, যোগাযোগ, মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ, সার্বিকভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই বন্ধনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, থাইল্যান্ডের ফল ও খাদ্য উৎপাদনে অনেক গবেষণা আছে। আমরা এসব ক্ষেত্রে মতবিনিময় করেছি। দুই দেশের মধ্যে এইসব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমাদের চট্টগ্রাম থেকে থাইল্যান্ডের বন্দরের সাথে সরাসরি কার্গো নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি মনে করি, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। যেহেতু থ্যাইল্যান্ড আশিয়ানভুক্ত দেশ এবং বর্তমানে বিমসটেকের সভাপতি। বিমসটেক আমরাই প্রতিষ্ঠা করেছিলাম এবং আমি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আছি। আমি আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বেশি গুরুত্ব দেই। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।