ক্রীড়া প্রতিবেদক : কদিন আগেই কিছুটা হুমকির সুরে শাহিন আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘আমাকে এমন কোন জায়গায় দাঁড় করাবেন না, যেন আমার নিষ্ঠুর ও বেপরোয়া চেহারা দেখাতে হয়।’ অধিনায়কত্ব ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত পাকিস্তানের ক্রীড়াঙ্গন। এক সিরিজ পরেই শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে।
দেশটির ক্রিকেটের অনেক তারকারই পছন্দ হয়নি এমন সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক শহীদ আফ্রিদি সরাসরিই সমালোচনা করেছেন এই নিয়ে। এরপর আবার শাহিনের নামে ভুয়া এক বিবৃতিও প্রচার করেছিল পিসিবি। সেটা নিয়ে সমালোচনা সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে বৈঠকও করেছিলেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি।
সবমিলিয়ে এই তরুণ পেসারের ওপর চাপ একটু বেশিই ছিল। শাহিন নিজেও একপ্রকার হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন। এবার নতুন খবর, পাকিস্তানের কাকুলে সেনাবাহিনীর অধীনে পরিচালিত ফিটনেস ক্যাম্প থেকেও সরে এসেছেন তিনি। অবশ্য এমন সিদ্ধান্ত কোনো ক্ষোভের বশে নেওয়া হয়নি। সেটাও নিশ্চিত করেছে পিসিবি।
ক্যাম্প শেষের দিনদুয়েক আগে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বিদায় নেন এই পেসার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ক্যাম্প ছাড়ার পরপরই শাহীন সরাসরি নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা এও জানায়, নিকটাত্মীয়ের অসুস্থতার কারণে ক্যাম্প ছাড়েন শাহিন আফ্রিদি। যদিও পাকিস্তান অবজার্ভারের খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ অসিম মুনীরের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ইফতার ও ডিনার আয়োজনে শাহিন আফ্রিদি যোগ দেবেন।
শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে একইদিনে ক্যাম্প ছেড়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিবজাদা ফারহান। যদিও তারা ঠিক কী কারণে ক্যাম্প থেকে বিদায় নিয়েছেন তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে আগামীকাল ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কাকুল সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বাবর-রিজওয়ানরা। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে পিসিবি। মূলত এই ক্যাম্প থেকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ফেরানোর দিকেই বিশেষ জোর দিয়েছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।