আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরি পরিচর্যায় কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে উত্তম কৃষি চর্চা ও কৌশলী পদ্ধতি ট্রেতে বীজতলা তৈরি করে নতুন চমক দেখিয়েছে। সনাতন পদ্ধতি ফসলি জমিতে বীজতলা তৈরি না করে ট্রেতে বীজ উৎপাদন করেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কৃষকরা বোরো ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বীজতলা তৈরি ও পরিচর্চা করছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামে বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদের জন্য ট্রেতে বীজতলা তৈরি করার দৃশ্য চোখে পড়েছে। সাধারনত শুস্ক মৌসুমে ফসলি জমিতে পানি থাকে না। পানির জন্য খাল-বিল কিংবা জলাশয় থেকে সেচের মাধ্যমে নিয়ে আসতে হয়। এই ভাবে বীজতলা তৈরি করতে খরচও বেশী পড়ে যায়। অথচ ট্রেতে বীজতলা তৈরি করতে তেমন বেশী খরচ হয় না। বীজতলায় পরিমান মত পানি দিয়ে এবং পরিচর্চা করলেই হয়। উপজেলার কৃষকরা এবার ট্রেতে বীজতলা তৈরি করছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার অত্র উপজেলায় বীজতলা ভাল হবে। বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়। চলতি বছর অত্র উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। ৭টি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূলে বীজ প্রদান করা হয়ে ছিল। এই বীজ দিয়েই কৃষকরা ট্রেতে বীজতলা তৈরি করেছে। ঘন কুয়াশা থাকলেও বীজতলার কোন ক্ষতি হয়নি।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ জানান,সঠিক পদ্ধতি ও পরিচর্চা এবং উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে কৃষকরা আদর্শ বীজতলা তৈরি করছে। এই বছর বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
দশমিনায় মাঠ জুড়ে ট্রেতে বীজতলা, কৃষকদের নতুন চমক

Leave a comment