জি এম ফিরোজ, ডুমুরিয়া
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভেনামী চিংড়ি চাষ এই প্রথম পূর্ণ সফলতা দেখিয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়ার চাষী প্রফুল্ল রায়। পরীক্ষামূলক ভেনামী চিংড়ি চাষ তার প্রথম বারের সাফল্য ছাড়িয়ে গেল দ্বিতীয় ধাপ। তিনি যশোরের এমইউসি ফুড মালিক শ্যামল কুমার দাসের সহযোগিতা নিয়ে জেলার ডুমুরিয়া এবং বটিয়াঘাটা সীমান্তবর্তী চকশৈলমারি এলাকায় গড়ে তোেলন ভেনামীর পাইলট প্রকল্প। সেমিইনটসিভ পদ্ধতিতে লবণ পানিতে ১২ একর জলাশয় ১২টি পুকুর ২৪ লাখ ভেনামী চিংড়ি চাষ করছন। জানা গেছে, খুলনার কাজিবাছা নদীর নোনা পানি দিয়ে সেমি-ইনটনসিভ পদ্ধতিতে চাষ হ”েছ ভেনামী চিংড়ি। পােনা ছাড়ার ৯০ দিনের মাথায় একটি পুকুর থেকে প্রথমে আহরণ করা হয় ২৫০ কজি চিংড়ি। গড় বডি ওয়েট পাওয়া যায় ০.৩৪ গ্রাম। লােকাল বাজারে ৬৬০ থেকে ৬৯০ টাকা কেজি দর বিক্রি করা হয়। হেক্টর প্রতি সাড়ে ১০ থেকে ১২ মে:টন উৎপান হবে বল আশা করছেন খামারি।
চাষি এনক ফিডের স্বত্বাধিকারী প্রফুল্ল কুমার রায় জানান, এযাবত তিনি বাগদা চিংড়ি চাষ করে আসছেন। এমইউসি ফুডের স্বত্তাধিকারী যশোরের শ্যামল দাসর অনুপ্রেরনায় যথাভাবে ভেনামী চিংড়ি চাষ শুরু করে এবং ১২ একর জলাশয় ১২টি পুকুর ২৪ লাখ ভেনামী চিংড়ি চাষ করেন। দু’দিন হলো মাছ ধরা শুরু হয়ছে। মাছের গড় বডি ওজন পাওয়া গেছে ৩৪ গ্রাম। হেক্টর প্রতি সাড় ১০ থেকে ১২ মে:টন উৎপান হবে বল তিনি আশাবাদি। ভেনামী চিংড়ি চাষ বাণিজ্যিক অনুমোদনের পাশাপাশি পোনা উৎপাদনের অনুমতি যদি পাওয়া যায় তাহলে বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা খুলনায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরল মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে।
সংসদ সদস্য নারায়ন চদ্র চন্দ্র বলেন, ভেনামী চাষ সম্প্রসারিত করা দরকার। তাহলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারবো এবং আমাদের বৈদিক মুদ্রা অর্জিত হবে। আর এই চাষকে উৎসাহিত করার জন্য আমাদের হ্যাচারি করা দরকার। তবে হ্যাচারি করা টেকনিক্যাল বিষয় কিছুটা কঠিন হলেও আজকাল যুগে টেকনোলাজি দিয়ে উপযোগী করে এখানে পােনা উৎপাদন করা যাবে বলে আশারাখি এবং এই বিষয় বাংলাদশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা করে একটা সফলতার দিকে নিয়ে যাবে। ১৯৭০ সালে প্রথম আমরিকায় ভেনামী চিংড়ি চাষ শুরু হয়। বাগদার তুলনায় ৬গুন উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। ফলে চিংড়ি শিল্পকে আর্ন্তজাতিক বাজার টিকে থাকার লড়াইয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভেনামী। গলদা ও বাগদার উৎপাদন সংকটের সময় ভেনামী চাষ দেখাচ্ছে আশার আলো। কম খরচ বেশি উৎপাদন করা সম্ভব ভিয়েতনামের এই ভেনামী চিংড়ি। তবে দেশি পোনা উৎপাদনের অনুমতি না দিলে আগ্রহ হারাবে চাষীরা।