জন্মভূমি রিপোর্ট
পলি পড়ে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া ও নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে হুমকির সম্মুখীন খুলনার শহর রক্ষা বাঁধ। আর এই কারণে বাড়ছে নগরীর জলাবদ্ধতা। জোয়ারের নদীর পানি ঢুকে পড়ছে শহরে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। অপরদিকে নগরীর ড্রেন ও পানি নিষ্কাশনের খালগুলি ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার আরও বিকট আকার ধারণ করছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং সিটি করপোরেশনের টানাপোড়েনে শহররক্ষা বাঁধ সংস্কারের কাজের প্রকল্প প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
জোয়ারের পানি বাড়লেই শহরের বিভিন্নস্থানে তলিয়ে যায় পানিতে। আষাঢ়ের শুরুতে স্বাভাবিকভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আর জোয়ারের কারেণে নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ উপচে নগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। আর এই জোয়ারের পানি টুটপাড়া, কাষ্টমস ঘাটসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। নগরীর বেশিরভাগ বাড়ীর নীচতলা পানির নিচে ডুবে থাকে।
শহর রক্ষা বাঁধের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছি নদীর তলদেশ উচুঁ হয়ে গেছে। নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থেকে খুলনার ড্রেন অনেক নিচু হয়ে গেছে। পানি পাম্প করে এই জলাবদ্ধতা কমাতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডের সাথে এবিষয়ে একটি চুক্তি হবে দ্রæত। এছাড়া বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী কিছুটা পরিত্রাণ পাবে জলাবদ্ধতা থেকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগ-২ থেকে জানা যায়, খুলনা নগরীর আলুতলা দশগেট এলাকা থেকে রূপসা ব্রিজ হয়ে কাষ্টমসঘাট এলাকাসহ বড়বাজার হয়ে দৌলতপুর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার বিস্তৃত খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড শহর রক্ষা বাঁধটি খুলনা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে বেশ আগেই। তাই এ বাঁধ উন্নয়ন খুলনা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব।
জনউদ্যোগ, খুলনার আহবায়ক এ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ (সওজ) ও সিটি করপোরেশনের টানাপোড়েনে এই বাঁধ রক্ষার কাজে নেই কোন অগ্রগতি। শুধুমাত্র পরিকল্পনা ও সক্ষমতা নিরুপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে এই প্রকল্পের সকল কর্মকাÐ।
দ্রুত খুলনা শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্প হাতে নিতে হবে : সিটি মেয়র
Leave a comment