
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেএমপিতে চেয়ার রাখার দাবি
জন্মভূমি রিপোর্ট : তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনা। যেখানে লোক সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এক দিকে ঘন বসতি অন্য দিকে অসংখ্য যানবাহন ফলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। অফিস, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা ও সন্ধ্যায় ঘর মুখো মানুষের চাপে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট সামলাতে হিম শিম খেতে হয়। কেউ আবার আইন অমান্য করে আসা যাওয়ায় যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিশেষ করে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, দুর্গাপুজাসহ বিশেষ দিনগুলোতে এই যানযট ও দুর্ঘটনা আরো বেড়ে যায়। কোনো কোনো স্থানে তখন ট্রাফিক পুলিশকে বিট রেখে নিচে নেমে যানযট নিরসন করতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল হলে ও সড়কে পুরাতন পদ্ধতি থাকায়, তা বাতিল করে দ্রুত আইন শৃংখলা বাহিনীর সুবিধার্থে এবং নগরবাসীর আধুনিক সেবার দাবিতে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় রোধ করে পুনরায় আধুনিক ট্রাফিক সিগনাল বাতি পুন: স্থাপনের দাবিতে বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকের কাছে এই স্মরক লিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপিতে বলা হয়, কেএমপিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা চেয়ার রাখার দাবিও জানানো হয়।
পুলিশ কমিশনার নেতৃবৃন্দের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তিনি বলেন, ট্রাফিক সিগনাল বাতি পুন:স্থাপনের জন্য উচ্চ পর্যায় সুপারিশ পাঠাবো দ্রুত বিবেচনার জন্য। পুলিশ জনগনের বন্ধু, এই শহরের মানুষ যাতে নিরাপদে যানযট মুক্ত অবস্থায়, নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। শুধু তাই নয় ফুটপথ অবৈধ দখল মুক্ত, ইভটিজিং, বিভিন্ন এলাকায় উঠতি বয়েসি কিশোর, তরুন, কিশোর গাং তাদের অপরাধ রোধ করা, মাদক সেবি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা, ভূমিদস্যুসহ আইন শৃঙ্খলা বিনিষ্টকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সকল কিশোর কিশোরীদের পিতা মাতার উদ্দেশ্য বলবো আপনাদের আদরের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখবেন, তারা কোথায় যায় কাদের সাথে চলাচল করে। সামনে দুর্গা পুজা উপলক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদাই সজাগ। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে। সাধারন জন গনের জন্য পুলিশ বাহিনী সর্বদাই কাজ করছে।
এ সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সাজিদ হোসেন (ক্রাইম) ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) বৃহত্তর আমরা খুলনা বাসীর সভাপতি ডা. মো. নাসির উদ্দিন, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু. সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, এম এ জলিল, সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ রাজা ও মো. জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।