হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নালিয়া গ্রামে ছাগল নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গ্রাম্য প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে ৭ জনকে কমবেশি রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ও আহত নালিয়া গ্রামের সোহাগ খান বুধবার (১৭ জুলাই) লোহাগড়া থানায় ১৪ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলা নং ১৮(০৭)/২৪। আসামীরা হলেন-লোহাগড়া উপজেলার দরিমিঠাপুর গ্রামের বদিন খান (৫৫), শওকত আলী খান (৫৩), শাহাজাহান খান (৪৯) ওরফে ঘরজে শাজাহান,মনিরুল ইসলাম (৩০), ইমদাদুল খান(৩৫),মফিজ খান (৪৭) এবং নালিয়া গ্রামের আজাদ মোল্যা (৪৫), জুয়েল খান (৩৭), নবীর খান ওরফে থোড়, মোর্শেদ খান ওরফে কলাই, হৃদয় মোল্যা,টিটো খান,হাফিজার খান,নিশাত খান,নবাব আলী সহ অজ্ঞাত ৫/৬জন।
মামলার বিবরণ,এলাকবাসি ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, নালিয়া গ্রামে দু‘টি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ গ্রুপ রয়েছে। যাদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পাশর্^বর্তী গ্রামের লোকজন বিভিন্ন সময় ওই দু‘টি পক্ষে মদদ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে নালিয়া গ্রামের সোহাগ খানের বাড়ির পাশ থেকে তার একটি ছাগল চুরির চেষ্টা করে একই গ্রামের টিটো ও হৃদয়। সোহাগ খান আসামী টিটো ও হৃদয়ের পক্ষীয় লোকদের নিকট এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। পরদিন সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিচার দেয়া কথা বলে নালিয়া গ্রামের তেমাথা নামক স্থানে যেতে বলে। তাদের কথামত সোমবার সকালে (১৫ জুলাই) সোহাগ খান কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে তেমাথা নামক স্থানে রওনা হন। তেমাথা পৌছানোর আগেই পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আসামীরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আসামীদের হামলার কবল হতে উদ্ধারের জন্য লোকজন এগিয়ে আসলে উদ্ধারকারিদের উপরও হামলা চালানো হয়। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সম্মিলিত ভাবে হামলাকারিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
মারাত্নক আহত হন জামশেদ,ছাবিনা বেগম,জরিনা বেগম,রিপন,ইকবল,নান্নু,আকাশ। আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক সেই সময় উপরোক্ত আসামী সহ আরোও কিছু দুস্কৃতকারি প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। প্রসঙ্গত: আসামী শওকত,মফিজ ও নবাব আলী খুনের মামলার আসামী। এদিকে ওই এলাকায় তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নালিয়া গ্রামে দু‘টি পক্ষের মধ্যে সামাজিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ছাগলের ব্যাপারটি সংঘর্ষের ব্যাপারে উপলক্ষ্য মাত্র। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার বলেন, ভাংচুর ও লুট ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
নড়াইলের নালিয়ায় ছাগলকান্ডে ১৪ জনের নামে মামলা

Leave a comment