নড়াইল প্রতিনিধি : পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে নড়াইলের লোহাগড়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মদিনাপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক দুই প্রতারক হলেন-গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পারচন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামের আকরাম মোল্যারছেলে তুহিন মোল্যা (৩৫) ও বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার আড়োঢেকি গ্রামের এনায়েত শেখের ছেলে রিপন শেখ (৩০)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুই প্রতারক নিজেদের পুলিশের উপ পরিদর্শক পরিচয় দেন। পুলিশের পোশাক ও ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে পুলিশ স্টিকার দেখিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের বিশ্বাস অর্জন করেন। সরল বিশ্বাসে লোহাগড়া উপজেলার বসুপটি গ্রামের আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে ইয়াসিন তার ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য ওই প্রতারকদের শরণাপন্ন হয়। এর ধারাবাহকিতায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে ৩ তিন লাখ ১০ হাজার টাকা অগ্রীম নেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা। কিন্তু গত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইয়াসিনের ভাইয়ের চাকরি না হওয়ায় তারা টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক চক্রটি টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করেন। এদিকে চলতি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন ওই প্রতারক চক্র। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ইয়াসিনের কাছে নগদ এক লাখ টাকা নিতে এলে কৌশলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতির বাড়িতে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন বলেন, স্থানীয় জনতা পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে থানায় খবর দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এসময় তাদের থেকে পুলিশের সরকারি ক্যানভাস-স্যু ও পুলিশ স্টিকার সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।