একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড
জন্মভূমি ডেস্ক
করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৬৪ জন। এখন পর্যন্ত একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনের।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন।
নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪২৫০, ময়মনসিংহে ৩৮৯, চট্টগ্রামে ১৩৬৭, রাজশাহীতে ১১২৩, রংপুরে ৬৭৬, খুলনায় ১৪৭০, বরিশালে ৪৩৬, সিলেটে ২৫৩ জন রয়েছেন।
এছাড়া মৃত্যু ১৬৪ জনের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী। এর মধ্যে খুলনায় ৫৫, ঢাকায় ৪০, চট্টগ্রামে ১৮, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ৯, সিলেটে ৮, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৫ হাজার ২২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৭৮৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৪৪৪ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৩ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৮, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
॥ নতুন করোনা রোগীর অর্ধেকই গ্রামের ॥
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, দেশের নতুন শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের মধ্যে অর্ধেকই গ্রামের।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, রোববার ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বেশি কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, রোগীর অধিকাংশের বেশি গ্রামের।
তিনি আরো বলেন, এখন বর্ষার মৌসুম। অনেকেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বর বা কাশিতে আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছেন। পরীক্ষা করাচ্ছেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন না।
মহাপরিচালক আরো বলেন, মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামে গ্রামে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়েছি। বাড়ি বাড়ি রোগীর খোঁজ রাখতে বলেছি।