
জি এম ফিরোজ, ডুমুরিয়া : ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সর্বজন শ্রদ্বেয় শিক্ষাবিদ নারায়ন চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫ (ডুমুরিয়াÑ ফুলতলা ও খানজাহান আলী থানার আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য হয়ে সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রী হওয়ার খবরে তার নিজ জন্মস্থান ডুমুরিয়াসহ তার নির্বাচনি এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ও ফুলতলা উপজেলার ৪টিসহ সিটি কর্পোলেশনের খানজাহান আলী থানার তিনটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ, উচ্ছ্বাস। তারা বুধবার রাতেই আনন্দ উল্লাস, মিষ্টি বিতরণসহ আণন্দ মিছিল করে। বৃহস্পতিবার সকালেও আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুন ও জনপ্রতিনিধিরা উল্লাস প্রকাশ করেন। একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ায়ে অঅনন্দ প্রকাশ করেন। অন্যান্য এমপির সঙ্গে সকালে বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করেন নারায়ন চন্দ্র চন্দও। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পেলেন সুখবর। মন্ত্রিসভায় ঠাই পেলেন ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে সুখ্যাতি পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা। বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ন চন্দ্র চন্দ মন্ত্রী হচ্ছেন- এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টেলিভিশনৈর পর্দায় যেসব নতুন মন্ত্রী শপথ নিতে যাচ্ছেন সেই তালিকায় নারায়ন চন্দ্র চন্দ-এর নাম থাকায় দলীয় নেতাকর্মীসহ এ সংসদীয় আসনের সর্বস্তরের জনতার মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যায়। পরে নতুন মন্ত্রিসভার নামের তালিকায় তার নাম বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় এ সংসদীয় আসনের সর্বস্তরের মানুষ আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। ডুমুরিয়ার ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান মোড়ল বলেন, আমরা ডুমুরিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছি। বর্তমানে নেই চাঁদাবাজী, দখলবাজি। এই ডুমুরিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে বর্তমান এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দে, বলেন, মানুষের ভালবাসা পেয়েই বর্ষীয়ান এই নেতা বার বার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থার প্রতীক তিনি। তিনি বলেন, এই ডুমুরিয়া এক সময়ে ছিল সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য কিন্তু গত ১৫ বছরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নেই। মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি আবু সাঈদ সরদার সৈয়দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শের সৎ, কর্মঠ ও জনপ্রিয় এ নেতা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার। সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসার প্রতীক এবং শেষ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। দীর্ঘকাল ধরে দলের প্রতি তিনি সর্বস্ব দিয়ে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ততা অর্জন করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে তাকে মনোনীত করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মন্ত্রী শিক্ষাবিদ নারায়ন চন্দ্র চন্দ। আর এতেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। সেই আনন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনিও নিজেকে মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিবেন বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন। এর আগে ২০০০ সালে ২০ ডিসেম্বর উপ নির্বাচনে সর্বপ্রথম প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এরপর ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয় জোট প্রার্থী মিয়া গোলাম পরোয়ারের কাছে সামান্য ভোটে হেরে যান। এরপর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময়ে মৎষ্য ও প্রাণিসম্পদদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক ইন্তেকাল করায় ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। এরপর সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।