জন্মভূমি ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার ‘অপরাধে’ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চালানো হামলায় দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- ঐ এলাকার জিয়ার হোসেন ও আলতাফ হোসেন। তারা পেশায় জেলে ও সম্পর্কে সহোদর।
জানা গেছে, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-৪ আসনে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ। উভয়ই আওয়ামী লীগ নেতা হলেও ভোটের মাঠে অবস্থান করেছেন দুই মেরুতে। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও বিভক্ত হয়ে জড়িয়েছেন নানা সংঘাতে। এরই একটি ঘটনার জের ধরে গতকালের এ ঘটনা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করছে পুলিশ। তারা এটিকে নির্বাচনী নয়, বরং সামাজিক দ্বন্দ্ব হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার। তিনি জানান, ওই দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েই হাসপাতালে আসেন। তারা এখনও চিকিৎসাধীন। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন আরজু বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা দু’জনকে আহত করেছেন।
আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলী বলেন, বের কালোয়া গ্রামের স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী সাবেক মেম্বার আবদুল খালেকের সঙ্গে দেড় দশক ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে আমাদের পরিবারের। গতকাল সকালে আমার ভাই জিয়ার ও আলতাফকে রাস্তায় পেয়ে হামলা চালান খালেক মেম্বারের ছেলে রিপন আলী ও লিটন। আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছি- এটাই আমাদের অপরাধ।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে রিপন বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছিল। প্রতিবাদে তাদেরও পাল্টা ধাওয়া দেয়া হয়। সে সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।