মোংলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এখনও উদ্ধার হয়নি। আজ মঙ্গলবার জাহাজটি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। উদ্ধার তৎপরতার জন্য বরিশাল থেকে একটি উদ্ধারকারী ক্রেন রওনা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার আহবায়ক নুর আলম শেখ বলেন, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল সুন্দরবনের অভ্যন্তরে। আর কয়লা একটি বিষাক্ত পদার্থ আর এই নদীতে ছড়িয়ে পড়লে নদীর মাছের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার শংকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরই এই পশুর নদীতে কয়লা, তেল ও সার নিয়ে জাহাজ ডুবছে এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের মাষ্টার ওসমান আলী জানান, গত শনিবার প্রায় ৭শ মে: টন কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজ এম, ভি বিবি-১১৪৮ তলা ফেটে ডুবে যায়। রাত ১১টার দিকে পশুর নদীর বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় ওই জাহাজের মাষ্টারসহ ১২ জন নাবিক সাতরিয়ে নদীর কুলে উঠে যায়। এদিন বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর এ্যাংকোরেজ থাকা বিদেশী জাহাজ এম, ভি জসকো থেকে কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে কার্গো জাহাজটি। এদিকে জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কার্গোটি পশুর চ্যানেলের মুল চ্যানেলের বাহিরে ডুবেছে বলে নৌযান চলাচল ও মুল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন।