মোংলা প্রতিনিধি : এখনও ঝুকি মুক্ত হয়নী মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলর চরে আটকে তলা ফেটে দুর্ঘটনাকবলীতকয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি ইশরা মাহমুদ। শনিবার দুপুর থেকে শুরু করে রবিবারও ছলছে বিরামহীন ভাবে অন্য বার্জে কয়লা অপসারণের কাজ। উদ্ধারকারী বার্জের মাধ্যেমে এপর্যন্ত প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪শ মেট্রিক টন কয়লা অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে চ্যানেল দিয়ে দেশ-বিদেশী জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কয়লা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানায়, আমাদের কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি ইশরা মাহমুদ দুর্ঘটনাকবলীত হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাজটি সরিয়ে কিনারায় নঙ্গর করা হয়। তরিগরী করে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক দিয়ে অন্য একটি বার্জে কয়লা অপসারণ করা হচ্ছে। তবে আরো দেড় থেকে দুই আড়াইশ মেট্রিক টন কয়লা অপসারণ করতে পারলেই জাহাজটি ঝুকি মুক্ত হবে এবং উদ্ধার করা সম্ভব হবে। যতক্ষনর্যন্ত কার্গো পরো-পুরি ঝুকি মুক্ত করা না যায়, ততক্ষন পর্যন্ত কয়লা অপসারণ করা হবে। তবে কি কারনে জাহাজটিতে দুর্গটনা ঘটেছে এবং কোন স্থানে ফাটল ধরেছে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন কয়লা অপসারণ সম্পন্ন হলেই আমরা জাহাজটি নোওয়াপাড়ায় নিয়ে যাবো।
মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকার ৬ নম্বর এ্যাংকারেজ বয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশী মাদার ভ্যাসেল “এমভি পারাস” নামক জাহাজ থেকে ২৩ ফেব্রয়ারী ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে কার্গো জাহাজ এমভি ইশরা মাহমুদ। শনিবার (২৪ ফেব্রয়ারী) জাহাজ থেকে নওয়াপাড়া উদ্দোশ্যে যাওয়ার জন্য বানিয়াশান্তা বাজার সংলগ্ন একটি মুড়িং বয়ায় নঙ্গর করে জোয়ারের অপেক্ষা করছিল। কিন্ত সেখানেই কার্গোটির তলা ফেটে ডুবতে থাকে। পরে মাস্টার বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত চালিয়ে পশুর চ্যানেলের পুর্ব পাশের সিগনাল টাওয়ার নামক এলাকায় চরে উঠিয়ে দিলে কার্গো সহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা হয়েছে। এসময় জাহাজে থাকা ১১ নাবিক সাতরে কিনারে উঠে প্রানে বেচে যায়। এখন তারা কয়লা অপসারণ করা বার্জে অবস্থান করছে। তবে তাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নী বলে জানায় কার্গোটির মাস্টার। দুর্ঘটনা ঘটার পর পরই মোংলা বন্দর ও প্রশাসনের কয়েকটি পৃথক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া মালিক পক্ষ ও কয়লা পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনও ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে কার্গোটি পুরোপুরী ঝুকিমুক্ত করতে আরো সময় লাগবে বলে জানায় মালিক পক্ষ। কার্গোটি চ্যানেলের বাহিরে থাকায় মুল চ্যানেল দিয়ে দেশ-বিদেশী পন্যবাহী বানিজ্যিক জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কয়লা আমদানীকারক আবুল খায়ের গ্রুপ’র সুপারবাইজার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, কয়লা আমদানীকারক মালিকের নিদেৃশনায় দুর্গটনাকবলীত কার্গোটির কি কারণে এবং কোন স্থান ফেটে গেছে তা চিহ্ণিত করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে এ পর্যন্ত ৪ থেকে সাড়ে ৪শ মেট্রিক টন কয়লা অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। আরো এক থেকে দুই’শ মেট্রিক টন কয়লা অপসারণ করা হলেই এখান থেকে চলে যাওয়া যাবে বলে জানায় এ কর্মকর্তা।
মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে বার বার কার্গো বা লাইটার জাহাজ ডুবি ঘটনা ঘটলে মুল চ্যানেলে দেশ-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ আগামন-নির্গমনে ব্যাঘাত ঘটনার সম্ভাবনা বলে মনে করেণ স্থানীয়রা।