জন্মভূমি ডেস্ক : পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের তিন দিন পর রোববার পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। সেখানে কোনো দল সর্বশেষ কতটি আসন পেয়েছে সেটি জানানো হয়েছে।
সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিষদ বা দেশের সংসদের নিম্নকক্ষের জন্য ঘোষিত নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ৭৫টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি।
এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসনে জয়ী হতে হবে। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এই অবস্থায় সরকার গঠনের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
ডন ও জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৮৮, ১৮ এবং ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে এরইমধ্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হলে সমর্থকদের বিক্ষোভে নামারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন বলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর একজন সিনিয়র সহকারী শনিবার জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সরকার গঠনের জন্য পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গহর আলী খান। কারণ, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের উদ্দেশে গহর আলী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব এবং সরকার গঠন করব।
গহর আলি বলেন, জনগণ অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গণনা করে ফরম–৪৫ পূরণ করেছেন।
এর আগে শনিবার দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানের স্থিতিশীল শক্তি দরকার এবং নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। জেনারেলরা দীর্ঘসময় দেশ পরিচালনা করেছেন। সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারার পর জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির বলেছেন, নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতির পরিবর্তে দেশে স্থিতিশীল শক্তির প্রয়োজন। নিরাময়ের ছোঁয়া প্রয়োজন।