
থার্টি ফার্ষ্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ৬৫ ট্যুরিষ্ট জাহাজের আগাম বুকিং
শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা : পূর্ব সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। গত শনিবার ৪২টি জাহাজে এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্র ঘুরে গেছেন। আসছে থার্টি ফার্ষ্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের সব গুলো ট্যুরিষ্ট জাহাজের আগাম বুকিং প্রায় সম্পন্ন বলে জানা গেছে।
সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ পর্যটকের খরা কাটিয়ে শীতের শুরুতে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকের যাতায়াত বেড়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের অন্যতম পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রে গত ৭ ডিসেম্বর পর্যটকবাহী ২৩ টি জাহাজের আগমন ঘটে।
কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার সোয়েবুর রহমান সুমন বলেন, শীতের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সামনে রেখে ৩/৪ দিনের ছুটিতে গত শুক্রবার ও শনিবার এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক ৪২টি জাহাজে করে প্রায় দুই হাজার পর্যটক কটকা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে গেছেন ।
সুন্দরবনের অপর একটি ট্যুরিষ্ট স্পট করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার আজাদ কবীর বলেন, সুন্দরবনে পর্যটকের খরা কেটে গেছে বলা যায়। প্রতিদিনই সুন্দরবনে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ট্রলার ও জাহাজে করে যাতায়াত করছেন।
সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন ( টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে তাদের ৪২টি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সুন্দরনে গেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর থাটি ফার্ষ্ট নাইটকে কেন্দ্র করে দেশী বিদেশী পযর্টকেরা সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য জাহাজ বুকিং করা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তাদের এ্যাসোসিয়েশনের ছোট বড় ৬৫টি জাহাজের বুকিং প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন ( টোয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন।।