শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা
পূর্ব সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথক ঘটনায় বিষসহ ৫ জনকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। এসময় জব্দ করা হয়েছে ট্রলার, ডিঙ্গি নৌকা ও বিষ দিয়ে ধরা মাছ।
সুন্দরবন সংলগ্ন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা, শরণখোলা গ্রামবাসীদের অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি অসাধু চক্র কীটনাশক দিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে। তারা কাউকে পরোয়া করেনা। মাঝে মাঝে বনবিভাগের অভিযানে ২/১ জন ধরা পড়লেও তাদের অপকর্ম থেমে নেই এবং বিষ দিয়ে ধরা মাছ শরণখোলা বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় বলে গ্রামবাসীরা জানান। গত ২৪ জুলাই শরণখোলা রেঞ্জের চরখালী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির পাঁজরাফুটা খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় আ: বারেক (৪৫) নামে একজনকে বনরক্ষীরা আটক করে। আটক ব্যক্তির বাড়ি বরগুনার বদরখালী। ঘটনার সময় বারেকের এক সহযোগী বনের মধ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময় একটি ট্রলার ও এক বোতল বিষ জব্দ করা হয়। একই স্থান থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় জাল ও ট্রলারসহ অপর ৩ জনকে বনরক্ষীরা আটক করে। গত ২৩ জুলাই বিকেলে শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির রায়বাঘিনী খালে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার সময় হাতেনাতে রাসেল তালুকদার (৩০) নামে একজনকে বনরক্ষীরা আটক করে। এসময় রিপকর্ড নামে এক বোতল কীটনাশক, ৮কেজি চিংড়ি মাছ ও একটি ডিঙ্গিী নৌকা জব্দ করে বনরক্ষীরা। আটক ব্যক্তির বাড়ি শরণখোলার সোনাতলা গ্রামে। এসকল ঘটনায় পৃথক ৩টি বন মামলা রেকর্ড করে আসামিদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে বন্যপ্রাণি রক্ষাসহ বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধে বনরক্ষীদের সার্বক্ষনিক টহল নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।