জন্মভূমি রিপোর্ট
আলোচিত রহিমা বেগম নিখোঁজ ও উদ্ধারের ঘটনাটি একটি শ^াসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান হয়েছে বলে, কেএমপির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সব থেকে বড় কথা রহিমাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তা না হলে, রহিমা নিখোঁজের ঘটনাটি বিভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারতো। এতে অনেক নির্দোষ ব্যক্তিও ভোগান্তিতে পড়তেন। ইতোমধ্যে যারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের বিষয়টি এখন আদালতের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট কুদরত-ই-খুদার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, যেহেতু মামলা হয়েছে, এখন বাদী আর মামাল তুলে নিতে পারবেন না। তাই কারাগারে আটক ব্যক্তিদের জামিন নিতে হবে। আদালত মনে করলে তাদের জামিন দিতে পারেন। আবার তদন্ত শেষে থানা পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারে, যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পান। তিনি বলেন, রহিমা বেগম উদ্ধার না হলে গুম,খুন বা অপহরণের আসামি হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিচারের মুখোমুখি হতে হতো। তিনি আরও বলেন, তদন্ত শেষে যদি দেখা যায়, রহিমা বেগম যদি স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা মিথ্যা, সাজানো ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে রহিমা বেগম আদালত কর্তৃক দোষী প্রমাণিত হলে তাকে ৫ থেকে ৬ বছর কারাভোগ করতে হবে।
প্রতারণা করলে রহিমার জেল হতে পারে ৫ থেকে ৬ বছর
Leave a comment