দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব। করোনা সংক্রমনের কারণে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ¤øান হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে। খুলনায় ৯৮২টি মÐপে এ বার পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মÐপের সংখ্যা এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে নগরীর ১৩৬টি ও জেলায় ৮৪৬টি মÐপে পূজা উদ্যাপিত হবে। নগরীতে গত বছরের চেয়ে এ বছর ৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ছিল ১২৯টি। এ বছর জেলায় মÐপ রয়েছে ৮৪৬টি। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এই পূজা। এ বছর স্বাস্থ্য বিধি মেনে পালন করতে হবে। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে এই পূজা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজ চললেও মÐপ নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি।
সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হবে এই পূজা। কোন দর্শনার্থী যেন নেশাগ্রস্ত না হয়ে মÐপে প্রবেশ করতে না পারে সে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক। এবার নগরীর ৮থানার মÐপগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা সদর থানা ২৫টি, সোনাডাঙ্গা ১১টি, খালিশপুর ১০টি, দৌলতপুর২২টি, খানজাহান আলী ১১টি, হরিণটানা ১০টি, লচণচরা ১৪টি ও আড়ংঘাটা থানায় ৩৩টি। এর মধ্যে অস্থায়ী মÐপ রয়েছে খুলনা বাজার পূজা মÐপ, সোনাপট্টি পূজা মÐপ, সাহেবের কবরখানা পূজা মÐপ, পঞ্চবিথি ক্লাব ও ফারাজীপাড়া পূজামÐপসহ ৭টি।
জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে দাকোপ ৮০টি, বটিয়াঘাটা ১১২টি, তেরখাদা ১০১টি, দিঘলিয়া ৬০টি, রূপসা ৭৩টি, ফুলতলা ৩২টি, ডুমুরিয়া ১৯৫টি, কয়রা ৫৫টি ও পাইকগাছায় ১৩৮টি। এখন চলছে রূপদানের কাজ। রংতুলির আঁচড় দেবার আগে শুকিয়ে নিতে হয়। কিছু দিন পর শুরু প্রতিমা রূপায়ণের কাজ। শিল্পীরা এখন নির্ঘুমরাত কাটাচ্ছেন। প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোন শোভাযাত্রা করা যাবেনা। মÐপগুলোতে থাকবে সিসি ক্যামেরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীরা মÐপে প্রবেশ করবেন।