জন্মভূমি ডেস্ক : মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জা বাংলাদেশের কক্সবাজার সদর উপজেলার এক তরুণীকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। তার রিটের পর, ওই তরুণী এবং তার বাবা আদালতে হাজির হয়েছেন।
রোববার (২০ জানুয়ারি) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে তারা উপস্থিত হন। এর আগে, ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওই তরুণীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশে তরুণী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে উপস্থিত হয়ে তরুণী বলেন, “আমি নার্ভাস ফিল করছি।” এরপর, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব তরুণীকে আশ্বস্ত করে বলেন, “এখানে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই। আমরা তোমার কথা আলাদা শুনব।” এরপর আদালত রুদ্ধদ্বার এজলাস কক্ষে তরুণীর বক্তব্য শোনেন, এবং অন্য আইনজীবী ও সাংবাদিকদের কিছুক্ষণের জন্য আদালত কক্ষ থেকে বাইরে যেতে বলা হয়।
এর আগে, আদালত কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছিলেন তরুণী এবং তার পরিবারকে হাইকোর্টে হাজির করতে।
ঘটনা অনুযায়ী, হারুন আসাদ মির্জা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কক্সবাজারের তরুণীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে, তরুণীর পরিবার এই সম্পর্ক জানার পর, তারা বাধা দেয় এবং পরিবারের চাপে ওই তরুণী হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর, তরুণীকে খুঁজে না পেয়ে হারুন মির্জা বাংলাদেশে এসে অনেক জায়গায় ছোটাছুটি করেও তার প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। তাই তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এখন হাইকোর্ট রুল জারি করেছে, যাতে জানানো হয় কেন ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হবে না এবং এটি আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না। রুলের জবাব দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবং কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।