ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ৬নং নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ ইউপি সদস্যকে স্থানীয় একটি স্বার্থানেশ্বী মহল ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের মৃত বড়দা কান্ত বিষ্ণুর পুত্র জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিষ্ণু অনুমান, ১৯৬৫ সালের দিকে স্ব-পরিবারে দেশত্যাগ করে ভারতে পাড়ি জমায়। এরপর মৃত বড়দা কান্ত বিষ্ণুর একমাত্র স্ত্রী সুকুমারী বিষ্ণু, ৩’পুত্র কালিদাশ বিষ্ণু, হরিনাথ বিষ্ণু, কোনাক বিষ্ণু ও ৩’কন্যা দুর্গা রানী বিষ্ণু, নিভা রানী বিষ্ণু, আভা রানী বিষ্ণুকে রেখে তিনি পরলোকগমন করেন। বর্তমানে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিষ্ণুর কন্যা ও মৃত অধির কুমার বসুর স্ত্রী আভা রানীর একমাত্র পুত্র ধ্রুব কুমার বসু মৌভোগ গ্রামে বসবাস করে থাকেন। কিন্তু স্থানীয় একটি স্বার্থানেশ্বী মহল ইউপি সদস্যকে মিথ্যা কথা বলে ও ভূল বুঝিয়ে ইংরেজী গত ৭/০৬/১২ তারিখ ২০১২/১২৫ নং স্বারকে আভা রানীর পুত্র ধ্রুব কুমার বসুকে ওয়ারেশ কায়েম দেখানো হয়েছিল। এছাড়াও গত ০৫/০৮/১২ইং তারিখে ২০১২/২০৭ নং স্বারকে ৩’কন্যাকে ওয়ারেশ দেখানো হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সে সময় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন কাজি মে. মহসিন। তিনিও ইউপি সদস্য এর তথ্যমতে ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন বলে জানান। প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিষ্ণু একমাত্র স্ত্রী সুকুমারী বিষ্ণু। তিনি ৩’পুত্র ও ৩’কন্যা সন্তানের পিতা। অথচ ইউপি সদস্যকে মিথ্যা। কথা বলে ও ভুল বুঝিয়ে জ্ঞানেন্দ্রনাথের একমাত্র স্ত্রী ও ৩’পুত্রকে বাদ দিয়ে ওয়ারেশ কায়েম করা হয়েছিল। স্থানীয় একটি সূত্র বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তদন্ত সাপেক্ষে এর সঠিক সত্যতা খুজে পান জনপ্রতিনিধিরা।
একই ঘটনা আবারো ঘটেছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলী আজগর এবং নারী সদস্য (সংরক্ষিত) জেসমিন বেগমকে ভুল বুঝিয়ে পুনরায় এই চক্রটি মিথ্যা ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। যা গত ০৫/১২/২০২৩ইং তারিখ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আমিনুর রশিদ মুক্তির স্বাক্ষরিত ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট ওই চক্রটি সংগ্রহ করেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আমিনুর রশিদ মুক্তি জানান, জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিষ্ণু ১’স্ত্রীসহ ৩’পুত্র ও ৩ কন্যা রেখে যাওয়ার পরও ঐ এলাকার ইউপি সদস্যকে ভূল বুঝিয়ে জ্ঞানন্দ্রনাথের স্ত্রী ও ৩পুত্রকে বাদ দিয়ে ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট করেছে। আভা রানীর পুত্র ধ্রুব কুমার বসু স্বার্থানেশ্বী একটি মহলের পরামর্শে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিষ্ণুর ৩’পুত্রের কেহ অত্র এলাকায় বসবাস করেন না।
ফকিরহাটে আবারো ভুল বুঝিয়ে ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট সংগ্রহ
![](https://dainikjanmobhumi.com/wp-content/uploads/2024/04/অভিযোগ-330x220.jpg)
Leave a comment