ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চল। এতে ডুবে গেছে চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের, সবজি খেত ও বোরো ধানের বীজতলা। ভৈরব, কালীগঙ্গা ও চিত্রা নদীর পাড়ে বসবাসকৃত মানুষের ভিটেবাড়ির ওপর খেলছে জোয়ার-ভাটা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনে চলছে জোর তৎপরতা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ফকিরহাটের ভৈরব নদ, মূলঘর ইউনিয়নে চিত্রা নদী ও কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়িতে জোয়ারের পানি উঠে যাচ্ছে। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অতিবৃষ্টির কারণে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রাস্তাঘাট, পুকুর, খাল, মাছের ঘের, বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে। নদীর নব্যতা হ্রাস, মৌসূমী বৃষ্টি ও উজানের বন্যার প্রভাবে নদী ও খালে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি, পানি নিষ্কাসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা সহ নানা কারণে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ওই এলাকার লোকজন।
ফকিরহাট মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষকৃত ১৭৬ টি পুকুর ও দিঘি, ১৪৫ টি মাছের ঘের সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৮১টি পুকুর-ঘের। এতে ২ হাজার ১০২জন চাষীরপ্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা। তবে মাছ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ক্ষতির পরিমান প্রায় দ্বিগুণ।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নেরপ্রায় সকল মাঠে চারদিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে চাষিরা জানান। এ জলবদ্ধতা দির্ঘায়িত হলে বোরো বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির জরিপ চলছে। আমিও উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি।