মান্না দে, ফকিরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে চলছে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীরা নিপুণ হাতে তুলির আঁচড়ে সরস্বতী প্রতিমার মুখ ফুটিয়ে তুলছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির জিনিস পত্রের মুল্য বেশী। সে তুলনায় প্রতিমার দাম পাচ্ছেন না বলে ঁজানান প্রতিমা শিল্পীরা।
ফকিরহাট উপজেলার পালপাড়া ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শিল্পীর নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রাতদিন পরিশ্রম করে মাটি দিয়ে দেবীর মূর্তি নির্মাণ করছেন কারিগররা। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা।
কয়েকজন মৃতশিল্পীরা জাানান, প্রতিমা তৈরিতে দুর দুর্দান্ত থেকে মাটি সংগ্রহ করে দো-আঁশ মাটির করতে হয়। এসব প্রতিমা তৈরীতে তাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ বাজারে পরিশ্রমের পর প্রতিমা তৈরি করে যে মজুরি পান তা দিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
প্রতিমা শিল্পী বিমল পাল বলেন, তিনি এ বছর ৬০টি প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন। সব কয়টি শেষের পথে। এখন চলছে রং তুলর কাজ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির জিনিস পত্রের মুল্য বেশী। কিন্তু সে তুলনায় প্রতিমার দাম পাচ্ছেন না বলে জানান। তিনি এবার ৫শত টাকা থেকে শুরু করে ৫হাজার টাকা মূল্যের প্রতিমা তৈরি করছেন।
প্রতিমা শিল্পী বলয় পাল জানান, তিনি এবছর ৩৫টি প্রতিমার অগ্রিম বায়না পেয়েছেন। এছাড়া আরো প্রতিমা তৈরি করেছেন যা বিভিন্ন হাটে বিক্রি করবেন। তিনি আরো বলেন প্রতিমার ন্যায্য মূল্য পাওয়া না গেলেও ধর্মের কাজের জন্য প্রতিমা তৈরি ও বিক্রি করছেন তিনি।
নবম শ্রেণির ছাত্র জিৎ পাল বলেন, পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি প্রতিমার কাজ করেন।
অরেক প্রতিমা শিল্পী লিটন পাল জানান, অন্যন্য বছরের তুলনায় এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী প্রতিমার চাহিদা রয়েছে। বাড়ি থেকেই অনেকে প্রতিমা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অনেক বাড়ি, মন্দির ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিমা নেওয়ার জন্য বাড়িতে আসছে।
ব্যবসায়ী মনোতোষ দত্ত বলেন, এ বছর প্রতিমা তৈরীর জিনিস পত্রের দাম দ্বিগুন বেড়েছে। যে কারনে তুলনামূলখভাবে প্রতিমার দাম বেশী।
এদিকে সরস্বতী দেবীকে বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন মন্দির, বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যথাযথ ধর্মীয় রীতি ও আচার মেনে পূজা উদযাপনের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভুক্তকুল।