জন্মভূমি ডেস্ক : ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে ট্যাংকের ভেতরে আটকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে শহরের চর কমলাপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছয় তলা নির্মানাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খোলার কাজের সময় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল।
নিহতরা হলেন- রাজমিস্ত্রির সহকারী সায়েম মুসুল্লি (২০) ও সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু (৪৫)।
সকালে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে প্রথমে প্রবেশ করেন রাজমিস্ত্রির সহকারী সায়েম মুসুল্লি (২০) ও আরও কয়েকজন। প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার দিলে এগিয়ে যান সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু (৪৫)। সায়েমকে উপরে ওঠাতে গেলে তিনিও পড়ে যান ট্যাংকের ভেতরে।
পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সায়েম ও আকরাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। নির্মাণাধীন ভবনের কাজ দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পুনরায় কাজ শুরু করে শ্রমিকরা। সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মারা যান দু’জন।
সায়েম মল্লিক ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোষা গোপালপুর গ্রামের মৃত রাশেদ মুসুল্লির ছেলে এবং আকরাম হোসেন বাবু শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার ছত্তার মিয়ার ছেলে।
নির্মাণাধীন ভবনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রাশেদ বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস কাজ বন্ধ ছিল। আজ সকালে কাজ শুরু করি। সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং করা ছিল। ভেতর থেকে সেন্টারিং খোলার কাজ শুরু করি। ট্যাংকের মুখ খোলার পর সায়েম ভেতরে নামতে যায়। তখন আমরা বলেছিলাম এক ঘণ্টা পর নামতে, কিন্তু কথা না শুনে সায়েম ভেতরে নেমে পরে।
তিনি আরও বলেন, সামেয় ভেতরে নামার পর চিৎকার দিলে আমাদের সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু তিনি ওপর থেকে সায়েমকে টেনে তুলতে গিয়ে নিজেও ট্যাংকির মধ্যে পড়ে যান। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তাদের উঠাতে কিন্তু পারিনি। ট্যাংকির মুখ ছোট থাকায় তাদের বের করতে পারিনি। ৬ মাস ট্যাংকের মুখ বন্ধ থাকায় ভেতরে গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তারা দু’জন মারা যায়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে। মরদেহের সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।