মোঃ এজাজ আলী
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও মৃত্যু অব্যাহত থাকলেও খুলনার অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীন। মাস্ক ব্যবহারে এক প্রকারের শিথিলতা দেখা যাচ্ছে মানুষের মাঝে। ফলে স্বাস্থ্য বিধির অন্যতম অনুষঙ্গ মাস্ক সহজলভ্য হলেও ব্যবহার নেমেছে নূন্যতম পর্যায়ে। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের শুরুর দিকে একশ” টাকা দিয়ে কিনে মাস্ক কিনে ব্যবহারের লোকের অভাব না থাকলেও এখন ১০ টাকায় ৩ টি কিনে নিয়মিত ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুই মাস পর ফের শনাক্ত হাজার ছাড়িয়েছে।এদিকে করোনা প্রতিরোধে স্বাসাথ্য বিধি মানতে মানুষের মধ্যে চরম অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে। ফলে নতুন করে করোনা সংক্রমন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার নগরীর মার্কেট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তারা, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, কিছু সংখ্যক মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা দেখা মেলেনি। অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও তা রেখে দিয়েছে পকেটে। আবার কেউ থুতনীতে ঝুলিয়ে রেখেছেন মাস্ক। বাস ও ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীসহ চালকদের মুখেও দেখা মেলেনি মাস্ক। তবে কেউ কেউ নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরছেন। পওয়ার হাউজ মোড় এলাকায় কথা হয় মোঃ রাশেদের সাথে। তিনি মুখে মাস্ক ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, করোনার টিকা নিয়ে মাস্ক না দিয়ে অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাদের উচিত নিজে মাস্ক ব্যবহার করা এবং অন্যকে সচেতন করে তোলা। আযমখান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, খুলনায় মাস্ক ব্যবহারের উপর প্রশাসনের তৎপরতা এখনও অনেকটা ঢিলেঠালা। তিনি পূনরায় মোবাইল কোর্ট চালুসহ তৎপরতা জোরদার করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আজিজুর রহমান বলেন, করোনা থেকে সুরক্ষা রাখে মাস্ক, এছাড়াও রাস্তার ধুলাবালি থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে কার্যকরী মাস্ক। ইদানীং মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারে শিথিলতা নেমে এসেছে। এতে ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন,সর্বস্তরের মানুষকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য বারবার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রচারনাসহ মোবাইল কোর্ট চালানো হচ্ছে।