জন্মভূমি রিপোর্ট : বটিয়াঘাটা উপজেলার কল্যাণশ্রী এলাকার জনৈক এক মহিলা দর্জি (২২)কে কনসার্টে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে গনধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত ৬ আসামীকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব ও থানা পুলিশ। বিভিন্ন সময়ে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে র্যাব ও থানা পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলো উপজেলার টালিয়ামারা এলাকার খোকন শেখের পুত্র রুবেল শেখ(৩০), কল্যাণশ্রী এলাকার আমের আলী গোলদারের পুত্র নাজমুল গোলদার(৩০), রায়পুর এলাকার মোহাম্মদ হালিম সরদারের পুত্র জুয়েল সরদার(২৭) ও গফুর শেখের পুত্র রাসেল শেখ(২৮), ভগবতীপুর এলাকার হরিদাস সরকারের পুত্র মৃত্যুঞ্জয় সরকার(২৬) ও বারোআড়িয়া পুলিশ সদস্য আশিক। মামলার বিবরণ র্যাব ও পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, ভিকটিম জনৈক মহিলা দর্জির কাজ করে পরিবাররে সাথে বসবাস করে আসছিলো। গত ১ বছর পূর্বে গণর্ধষণ মামলার মূল হোতা নাজমুল গোলদারের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে নাজমুল তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথম দিকে রাজি না হলেও পরর্বতীতে তাদরে মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে গত ২৩ অক্টোবর ভিকটিমকে কনর্সাট এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতেই নাজমুল গোলদার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে ভগবতীপুর কেঁছোরাবাদ স্লুুইচ গেটের পাশে তার নিজের ঘেরের পাশে ভদ্রা নদীর চরে নিয়ে অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে গনধর্ষন করে। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা দায়ের হলে র্যাব-৬ সদর কোম্পানীর এর একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তরি সহায়তায় নোয়াখালী চরজব্বার এলাকা থেকে গনর্ধষণরে মূলহোতা নাজমুল গোলদার(৩০), ও সহযোগী রাসেল শেখ(২৮) কে খুলনার ডুমুরয়িা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। অপর আসামী মৃত্যুঞ্জয় সরকার, পিতা- হরিদাস সরকারকে বরিশাল নতুন বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গনর্ধষণরে সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানায়। এ ব্যাপারে থানার ওসি মোঃ শওকত কবির জানান, মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান আছে। দোষীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হবে।