# রোগী সেবা দেয়া হয় না
# শনাক্ত ২৪২, মৃত্যু ৮ জন
শেখ আব্দুল হামিদ
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের সাত শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড এক বছরেও চালু হয়নি। অক্্িরজেন সিলিন্ডার ৬টি স্থাপনের ব্যবস্থা থাকলেও সংযোগ দেয়া নেই। গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আইসোলেশনে রোগী রয়েছেন ৯২ জন। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আর করোনার শুরু থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪২ জন।
হাসপাতালে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সুনিতি রাণী জানান, সাধারণ রোগীর ওয়ার্ডের সামনে আইসোলেশন ওয়ার্ড না করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও করা হয়েছে। করোনা রোগী রাখা হলে গোটা হাসপাতালে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মিজানুর রহমান বলেন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল ঘোষণা করা হলেও এখানে জনবল এবং ওয়ার্ড সংকট রয়েছে। রোগীদের ওয়ার্ডের বারান্দায় শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট চিকিৎসক ১০ জনের স্থানে রয়েছেন ৭ জন। নার্স ৩৬ জনের জায়গায় আছেন মাত্র ১৪ জন। তিনি বলেন, হাসপাতালের তৃতীয়তলায় মহিলা ওয়ার্ডের সামনে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। উভয় ওয়ার্ডের জন্য একটি মাত্র বাথরুম ও টয়লেট রয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে রোগী রাখার পরিবেশ আজও হয়নি। জরুরী রোগী এলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এপর্যন্ত এখানে কোন রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সাধারণ রোগীদের পাশে আইসোলেন ওয়ার্ড করা হয়েছে। ফলে সাধারণ রোগীদের মাঝেও করোনা সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড যথাযথ ভাবে প্রস্তুত হলে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব ছিল। খুলনা জেলা শহরের পাশে হওয়ায় বটিয়াঘাটায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। সাত ইউনিয়নে আইসোলেশনে রোগী রয়েছেন ২৪২ জন। আর এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। রোগীরা নিজ নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে অবস্থান করছেন। তাদেরকে ওয়ান লাইনে সেবা দেয়া হয়ে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, আইসোলেন ওয়ার্ড প্রস্তুত করার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার আজও প্রস্তুত করতে না পারায় তাকে কোন বিল দেয়া হয়নি। ৩০ জুনের মধ্যে তার কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে এ ওয়ার্ডে এখনও করোনা রোগী চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়নি।
এদিকে স্থানীয় বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন মন্ডল বলেন, প্রতিদিন করেনা রোগী গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে। এ মুহুর্তে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড দ্রুত চালু করার প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন আইসোলেশন ওয়ার্ড আর সাধারণ রোগীর জন্য ওয়ার্ড মুখোমুখি করা ঠিক হয়নি। তারপর তাদের জন্য একটি মাত্র বাথরুমের ব্যবস্থা রাখা আরও খারাপ হয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের আইসোলেশন ওয়ার্ড অপ্রস্তুত
Leave a comment